You are currently viewing Class 9 ICT Assignment 1

Class 9 ICT Assignment 1

Class 9 ICT Assignment 1

Class 9 ICT Assignment 1 (নবম শ্রেণি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট ১)

শ্রেণি ঃ নবম

বিষয়ঃ তথ্য ও প্রযুক্তি

শিরোনামঃ বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ই- লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে সম্পন্ন করা যায় তাঁর একটি প্রতিবেদন।

    ভূমিকাঃ

    বর্তমান আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে তথ্যপ্রযুক্তি ভুমিকা অনস্থীকার্য। বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় যে আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কতটা গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। আমরা আজকেরে যে সভ্যতা সামনে দাঁড়িয়ে আছি তার অনেকটাই সার্থক হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে । বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এর ছোঁয়া লেগেছে । যোগাযোগের আধুনিকায়ন এবং ইন্টারনেটের বদৌলতে শুরু হয়েছে ই- লার্নিং। ই-লার্নিং হল ইলেকন্রনিক লার্নিং অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিংবা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক, টেলিভিশন সিডিরম, ই লার্নিং হল আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদানের একটি প্রক্রিয়া।

    করোনাকালে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্ধক্রম চালু না রাখার যৌক্তিকতা:

    করোনাকালে স্বাভাবিক শ্রেণী কাযক্রম চালু না রাখার যৌক্তিকতা রয়েছে। কারন উন্নত দেশগুলো যেখানে করোনার থাবায় কোণঠাসা সেখানে আমাদের জনবহুল দেশ অনেকটাই বিপদের মুখে । যদি শ্রেণী কর্যক্রম চালু রাখা হতো তাহলে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থির চিত্র আরও ভয়াবহ হত। আজকের শিক্ষার্থীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ । আজকের শিক্ষার্থীরাই সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিবে আমারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে কতোটা উন্নত । কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শ্রেণী কর্যক্রম চালু না রাখার সিদ্ধান্ত খুবই যৌক্তিকতাপূর্ণ এবং যুগোপযোগী। তাই যেখানে ঘরে বসে শেখার সুযোগ আছে সেখানে ঝুকি নিয়ে বিদ্যালয় খোলা রেখে পাঠদান না করেও ঘরে বসে পাঠদান ও পাঠগ্রহণ করায় অধিকতর শ্রেয় হবে।

    ই-লার্নিং এর ধারণাঃ

    পৃথিবীর গতানুগোতিক শেখার ধারাকে পাল্টে দিয়ে নতুন তথ্যবহুল  শেখার যে পদ্ধতি চালু হয়েছে তার নাম  ই হচ্ছে ই-লার্নিং অর্থাৎ ইলেকট্রিক লার্নিং। মূলত এটি পুরাতন ধারার একটি পরিপূরক। পুরাতন শেখার পদ্ধতিতে অনেক বিমূর্ত জিনিস শ্রেণিকক্ষে বোঝানো সম্ভব হতোনা সেই অসম্ভবকে নতুন গতি দিয়ে সম্ভব করতে শ্রেণিকক্ষে ই লার্নিং এর ব্যবস্থা করা হয়। ই-লার্নিং মূলত অনালাইন ভিত্তিক শিক্ষা । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে ই-লার্নিং এর ধারণার উদ্ভব হয়েছে। ই-লার্িয়ের ইতিহাস আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ।১৯৯৯ সালে, “ই-লার্নিং” শব্দটি প্রথমবারের মতো এলিয়ট ম্যাসি ডিজনি ওয়ার্ডে টেকলার্ন সম্মেলনের সময় উল্লেখ করেছিলেন । এরপর ওহিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিডনি প্রেসি প্রথমবারের মত বৈদ্যুতিক লার্নিং মেশিন তৈরী করেন। কিন্তু তরাও আগে ১৭২৮ সালে কালেব ফিলিপস ইমেইল এর মাধ্যমে দূরবর্তী লার্নিং কোর্স চালু করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা হলো অনেক অনলাইন ভিত্তিক স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এর প্রভাব বিস্তার করেছে। ব্যাক্তিগত উদ্যেগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যেগে  ই-লার্নিং ব্যাবস্থা চালু করা হয়েছে।

    ই-লার্নিং এর সুবিধাসমূহঃ

    বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সহ রাষ্ট্রিয় জীবনে একটি অঙ্গ দখল করে আছে তথ্য ও প্রযুক্তি। তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া আমরা কোনো কিছুই ভাবতে পারছিনা, সেই তথ্য প্রযুক্তির আলোকে ই-লার্নিং এর সুবিধাসমূহ  নিম্নে আলোচনা করা হলো:-

    ১.  পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে একই সময়ে সকল বাংলা ভাষী শিক্ষার্থী পাঠ অনুশীলনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

    ২. উত্তম পাঠদানের সীমাবদ্ধতা দুর করে। অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের কোনো ভালো শিক্ষকের পাঠদান পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়। 

    ৩. হ-লানিং এর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যমান বেষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব ।

    ৪. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে নতুন নতুন স্কুল তৈরি না করে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে  একসাথে পাঠদান সম্ভব হয়।

    ৫. ই-লানিং এর মাধ্যমে প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রী তাদের নিজেদের সুবিধা মতো পড়াশুনা করতে পারবে । যে বিষয়ে দুর্বল সে বিষয়ে শিক্ষকের কাছে থেকে অনলাইনে টিউশন নিতে পারবে এবং সেটাও অনেক কম খরচে ।

    ৬. ই-লানিং এর মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সম্পর্কে সহজেই ধারণা পাওয়া যায়।

    ৭. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে একই সাথে একাধিক কর্মকাণ্ড যুক্ত হওয়া সম্ভব। তাই ই-লানিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম ।

    ই-লার্নিং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহঃ

    আমাদের দেশে উত্তম পাঠদানের সীমাবদ্ধতা দূর করার ব্যাপারে ই-লার্নিং অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারলেও আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, এটি কিন্তু কোনোভাবেই প্রচলিত পঠদানের বিকল্প নয়। প্রচলিত পাঠদানের সময় একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের সরাসরি দেখতে পারেন, তাদের সাথে কথা বলতে পারেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সাথে নানাভাবে ভাব বিনিময় করতে পারে, প্রশ্ন করতে পারে। শুধু তাই নয়, তারা পাশাপাশি একে অন্যকে সাহায্য করতে পারে, একে অন্যের সহযোগী হয়ে শিখতে পারে তাই ই-লার্নিং বাস্তবায়নে কিছু চেলেঞ্জ গ্রহণ করতে হতে পারে যা নিম্নরুপ:-

    ১. ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সার্বস্তরে নিশ্চিত করা অনেকটা কঠিন। প্রযুক্তির ছোঁয়া সবখানে লাগলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সবার হাতে এসে পৌঁছায় নি। তাই সবার আগে সর্বস্তরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

    ২. ইন্টারনেট ব্যবহারের সহজলোভ্যতা নিশ্চিত করা । যেখানে বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যায় তুলনামূলকভাবে কম এবং ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে সেখানে আমাদের দেশে এর ব্যায় অনেকটাই বেশি ।

    ৩. অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকায়ন করা সবক্ষেত্রে সম্ভবপর নাও হতে পারে । কারণ এর জন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

    ই-লার্নিং এর মাধ্যেমে কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনঃ

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে যেহেতু সকল ক্ষেত্রেই মানুষ লাভাবান হচ্ছে সেখানে শিক্ষাক্ষাত পিছিয়ে থাকবে কেন। ই-লার্নিং শুরু শিক্ষার মান ই বৃদ্ধি করবে না সাথে সাথে দক্ষতা অর্জনেও ভূমিকা রাখবে যথা:

    ১. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার জীবনে প্রয়োগমূলক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

    ২. শিক্ষার্থীদের বিমূর্ত জীনিজ গুলোকে মূর্ত করে তোলে তাই তারা বাত্বব জ্ঞানে জ্ঞনি হয়।

    ৩. নিজের সীমিত জ্ঞানের পরিধিকে ই- লানিং এর মাধ্যমে আরো বিস্তৃত করা যায়।

    ৪. একজন শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান লাভের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারে।

    ৫. শিক্ষার্থীদের শিখন দীর্ঘস্থায়ী ও ফলপ্রসু হয়।

    স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে ই- লার্নিং এর সম্ভাবনা:

    বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা সহায়তায় ই-লানিং এর প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হলেও করোনা পরবর্তী সময়ে ই-লানিং আরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে ই-লানিং এর মাধ্যমে পাঠদান করাচ্ছে এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে পারছে অন্যদিকে তাদের পছন্দমতো শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। শুধু গতানুগতিক জ্ঞান লাভের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ শিক্ষিত হতে পারে না তাই বইয়ের পাশাপাশি ই-লানিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাধিক বিষয়ে সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে যা তাদের উন্নত জীবন গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া ই-লার্নি এর কোনো শিক্ষার্থী কিছু না বুঝলে পরবর্তীতে সেই লেকচারটি পুনরায় দেখে নিতে পারে । তাই বলা যেতে পারে করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা সহায়তায় ই-লার্নিং এর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

    উপসংহারঃ

    শিক্ষার আলোকে সবত্র ছড়িয়ে দিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে ঠিক সমপরিমাণ ভূমিকা রাখে ই-লার্নিং। যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি সবন্তরে বিরাজ করছে সেখানে শিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর করতে ই-লার্নিং এর আরো প্রসার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন ।ই-লার্নিং এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজেকে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে তাছাড়া ই-লার্নিং এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে যেমন অর্থ উপার্জন করতে পারে ঠিক তেমনি বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে । তাই ই-লার্নিং কে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করা প্রয়োজন।

    আরো দেখুনঃ

    Leave a Reply