You are currently viewing সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য উদাহরণ সহ বৈশিষ্ট্য, MCQ এবং বিস্তারিত আলোচনা

সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য উদাহরণ সহ বৈশিষ্ট্য, MCQ এবং বিস্তারিত আলোচনা

সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য উদাহরণ সহ, সাধু ও চলিত ভাষা কাকে বলে, সাধু ও চলিত ভাষার প্রবর্তক কে, সাধু ও চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য, সাধু ও চলিত ভাষা mcq ও সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কোন পদে বেশি পরিলক্ষিত হয় এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আশা করা যায় সাধু ও চলিত ভাষা নিয়ে চাকরির প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হবে।

সাধু ও চলিত ভাষারীতির ধারণা

সাধু ভাষা কাকে বলে

সংজ্ঞা:  বাংলা গদ্য সাহিত্যে ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দবহুল সুষ্ঠু, মার্জিত, সর্বজনবোধ্য, অথচ নিয়মবন্ধ ও কৃত্রিম ভাষারূপ হল সাধু ভাষা।

প্রখ্যাত বৈয়াকরণ ও ভাষাতত্ত¡বিদ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘সাধারন গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত বাংলা ভাষাকে সাধু ভাষা বলে।’

সংস্কৃত-ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন মানুষের ভাষাকে ‘সাধু ভাষা’ বলে প্রথম অভিহিত করেন রাজা রামমোহন রায়।

সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি

  • সাধু ভাষা তৎসম শব্দ বহুল।
  • সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।
  • সাধু ভাষা দুর্বোধ্য ও গুরুগম্ভীর।
  • সাধু রীতিতে অব্যয় পদ দীর্ঘ রূপ হয় না।
  • সাধু ভাষারীতিতে ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়।

সাধু ভাষার উদাহরণ

তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসিল সবখানে।

সাধু ভাষার প্রবর্তক কে বা বাংলা সাধু ভাষার জনক কে

বাংলা সাধু ভাষার জনক হচ্ছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।

চলিত ভাষা

চলিত ভাষা কাকে বলে

সংজ্ঞা সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলা হয়।

প্রখ্যাত ভাষাতত্ত¡বিদ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গে ভাগীরথী নদীর তীরবর্র্তী স্থানের ভদ্র ও শিক্ষিত সমাজের ব্যবহৃত মৌখিক ভাষা, সমগ্র বাঙ্গালাদেশের শিক্ষিত সমাজ কর্তৃক শেষ্ঠ মৌখিক ভাষা বলিয়া গৃহীত হইয়াছে। এই মৌখিক ভাষাকে বিশেষভাবে ‘চলিত ভাষা ’ বলা হয়।

শিক্ষিত জনসমাজের একরকম মার্জিত কথ্য ভাষার মান্য ও স্বীকৃত রূপকে বলা হয় প্রমিত চলিত ভাষা।

চলিত ভাষার আদর্শরূপে গৃহীত ভাষাকে বলা হয় প্রমিত চলিত ভাষা।

চলিত ভাষার প্রবর্তক কে

প্রমথ চৌধুরী। তাঁর সম্পাদিত ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) পত্রিকাটি চলিত ভাষা প্রচলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

চলিত ভাষার সৃষ্টি কত সালে

চলিত ভাষা সৃষ্টি হয়েছে ১৯১৪ সালে

চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য

  • সাধুভাষা থেকে চলিত ভাষায় লিখতে সর্বনাম ও ক্রিয়া পদযুগলের পরিবর্তন ঘটে।
  • চলিত ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য প্রমিত উচ্চরণ।
  • চলিত ভাষার অনুসর্গের রূপ সংক্ষিপ্ত হয়।
  • ভাষার কথ্য রীতি বা চলিত রীতি কৃত্রিমতাবর্জিত।
  • চলিত ভাষা রীতি পরিবর্তনশীল।
  • সাধু ভাষার শব্দে ‘ঙ্গ’-এর স্থলে চলিত ভাষায় ‘ঙ’ এর কোমল রূপ ব্যবহৃত হয়।

চলিত ভাষার উদাহরণ

তখন গভীর ছায়া নেমে আসল সবখানে।

সাধু ও চলিত রীতির পার্থক্য

 

সাধু রীতি চলিত রীতি
পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রি ও সুনির্দিষ্ট পরিবর্তনশীল
তৎসম শব্দবহুল তদ্ভব শব্দবহুল
শুধু লৈখিক রূপ আছে লৈখিক ও মৌখিক উভয় রূপ আছে
গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের পরিচায়ক সংক্ষিপ্ত, সহজবোধ্য
নাটকের সংলাপ, বক্তৃতা এবং আলাপ-আলোচনার অনুপযোগী নাটকের সংলাপ, বক্তৃতা এবং আলাপ-আলোচনার উপযোগী
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে

সাধু ও চলিত রীতিতে বিভিন্ন পদের রূপভেদ

 

সাধু ও চলিত রীতির ক্রিয়াপদে রুপভেদসমূহ

সাধুরীতি     –    চলিত রীতি

দেখিয়া- দেখে
ফুটিয়া রহিয়াছে -ফুটে রয়েছে
খুলিয়া -খুলে
গড়িয়াছেন -গড়েছেন
বলিয়া -বলে
পাইয়াছিলেন -পেয়েছিলেন
পার হইয়া -পেরিয়ে
হইলেন -হলেন
হইল -হল/হলো
করিবার -করবার/করার
করিয়া- করে
করিতেছি -করতেছি
ফিরিয়া -ফিরে
লাগিল- লাগলো
চকিত হওয়া- চমকে
ছড়াইলে- ছড়ালে

সাধু ও চলিত রীতির সর্বনাম পদে রুপভেদসমূহ

সাধুরীতি  – চলিত রীতি

তাঁহার- তাঁর
উহারা- ওরা
উহা -ওটা
তাঁহার/তাহার- তাঁর/তার
তাহাকে/উহাকে- তাকে/ ওকে
তিনি- সে

সাধু ও চলিত রীতির বিশেষ্য পদে রুপভেদসমূহ
গৃহ- ঘর
মস্তক- মাথা
জুতা -জুতো
সুতা -সুতো
তুলা -তুলো
পূজা- পূজো
শুষ্ক/শুকনা -শুকনো
জোসনা/জ্যোৎ¯œা -জোছনা

সাধু ও চলিত রীতির বিশেষণ পদে রুপভেদসমূহ

বন্য- বুনো
অতিশয়- অত্যন্ত
কিয়ৎক্ষণ- কিছুক্ষণ

সাধু ও চলিত রীতির অব্যয় পদে রুপভেদসমূহ
পূর্বেই -আগেই
অপেক্ষা- চেয়ে
সহিত সঙ্গে, -সাথে
হইতে- হতে

সাধু ও চলিত রীতির তথ্য কণিকা

‘গ্রহ’ সাধুরীতির শব্দ। ‘মেগো’ শব্দের আঞ্চলিক রূপ শিষ্ট পদ্যরূপ ‘মোদের’

 

সাধু ও চলিত রীতির প্রয়োগ

 

সাধুরীতি চলিত রীতি
তঁহারা জুতা খুলিয়া ঘরে প্রবেশ করিল। তাঁরা জুতো খুলে ঘরে প্রবেশ করল।
একদা মরণ-সমুদ্রের বেলা ভূমিতে দঁড়াইয়া কোন এক আরবীয় সাধক বলিয়াছিলেন। একদিন মরণ-সমুদ্রের বেলা ভূমিদে দাঁড়িয়ে কোনো এক আরবীয় সাধক বলেছিলেন।
তিনি হাঁটিতে হাঁটিতে ভাবিতেছিলেন, শুধুমাত্র নণিষী-কাক্যেই তো জীবম্মৃত যুবসমাজের কল্যাণ বহিয়া আনিতে যথেষ্ট নহে। তিনি হাঁটিতে হাঁটিতে ভাবভিলেন, শুধু মণিষী-বাক্যেই তো জীবম্মৃত যুবসমাজের কল্যাণ বয়ে আনতে যথেষ্ট নয়।
কোন ভাষঅ-রীতিতে এই প্রশ্ন লিখা হইয়াছে? কোন ভাষা-রীতিতে এ প্রশ্ন লেখা হয়েছে?
এইরূপ সাদৃশ্য অনেক চক্ষে পড়িবে। এরকম সাদৃশ্য অনেক চোখে পড়বে।
তোমাকে দেখিয়া খুবই খুশি হইলাম। তোমাকে দেখে খুবই খুশি হলাম।
বাবা তাহার সম্পত্তি ছেলেদের মধ্যে বাগ করিয়া দিলেন। বাবা তার সম্পত্তি ছেলেদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন।
সে আসিবে বলিয়া ভরসাও করিতেছি না। সে আসবে বলে ভরসাও করছি না।অনুশীলনী:

 

সাধু ও চলিত ভাষা mcq

অনুশীলনী-১
০১) ‘সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেনÑ
ক) রাজা মনি মোহন রায় খ) রাজা রামমোহন রায়
গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ঘ) অক্ষয় কুমার দত্ত
০২) ‘তৎসম’ শব্দের ব্যবহার কোন রীতিতে বেশি হয়?
ক) চলিত রীতি খ) সাধু রীতি
গ) মিশ্র রীতি ঘ) আঞ্চলিক রীতি
০৩) সাধু ভাষার বৈশিষ্ট কোনটি?
ক) গুরুচÐাল খ) গুরুগম্ভীর
গ) অবোধ্য ঘ) দুর্বোধ্য
০৪) সাধুরীতিতে কোন পদটির দীর্ঘরূপ হয় না?
ক) বিশেষ্য খ) সর্বনাম
গ) অব্যয় ঘ) ক্রিয়া
০৫) ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়Ñ
ক) চলিত ভাষারীতিতে খ) সাধু ভাষারীতিতে
গ) সমাজ উপভাষার ঘ) আঞ্চলিক উপভাষার
০৬) বাংলা ভাষার সাধুরীতির বৈশিষ্ট কোনটি?
ক) বিশেষ্য ও সর্বনাম এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে
খ) বিশেষ্য ও বিশেষণ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে
গ) সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে
ঘ) সর্বনাম ও বিশেষণ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে
০৭) নিচের কোনটি সাধুরীতির উদাহরণ?
ক) তখন গভীর ছায়া নেমে আসে সর্বত্র
খ) তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসিল সবখানে
গ) তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসে সর্বত্র
ঘ) তখন গভীর ছায়ায় সর্বত্র ঢেকে গিয়েছে

অনুশীলনী-১ উত্তর: ০১. খ ০২. খ ০৩. খ ০৪. গ ০৫. খ ০৬. গ ০৭. খ

 

অনুশীলনী-২
০১) ভাষার কোন রীতি কেবলমাত্র লেখ্যরূপে ব্যবহৃত হয়?
ক) কথ্য রীতি খ) আঞ্চলিক রীতি
গ) সাধু রীতি ঘ) চলিত রীতি
০২) বাংলা সাধু ভাষা বলতে বোঝায়Ñ
ক) সাধু পুরুষদের ব্যবহৃত ভাষা
খ) তৎসম শব্দবহুল ভাষার রীতি
গ) কবিতা রচনার ভাষা
০৩) সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্যÑ
ক) তৎসম ও দদ্ভব শব্দের ব্যবহার
খ) ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপে
গ) শব্দের কথা ও খেল্য রূপে
ঘ) বাক্যের সরলতা ও জটিলতায়
০৪) সাধু ভাষা সাধরণত কোথায় অনুপযোগী?
ক) কবিতার পঙ্ক্তিতে খ) গানের কলিতে
গ) গল্পের বর্ণনায় ঘ) নাটকের সংলাপে
০৫) কোন ভাষায় সাহিত্যের গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য প্রকাশ পায়?
ক) কথ্য ভাষায় খ) সাধু ভাষায়
গ) আঞ্চলিক ভাষায় ঘ) চলিত ভাষায়
০৬) কোন ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত এবং সুনির্দিষ্ট?
ক) চলিত ভাষা খ) কথ্য ভাষা
গ) লেখ্য ভাষা ঘ) সাধু ভাষা
০৭) ভাষার কোন রীতি পরিবর্তনশীল?
ক) সাধু রীতি খ) চলিত রীতি
গ) কথ্য রীতি ঘ) লেখ্য রীতি
০৮) চলিত ভাষার রীতির ক্ষেত্রে কোন বৈশিষ্ট প্রযোজ্য?
ক) পরিবর্তনশীল খ) আভিজাত্যের অধিকারী
গ) গুরুগাম্ভীর ঘ) অপরিবর্তনীয়
০৯) ভাষার কোন রীতি তদ্ভব শব্দ বহুল?
ক) সাধু রীতি খ) চলিত রীতি
গ) কথ্য রীতি ঘ) বানান রীতি

অনুশীলনী-২ উত্তর ০১. গ ০২. খ ০৩. খ ০৪. ঘ ০৫. খ
০৬. ঘ ০৭. খ ০৮. ক ০৯. খ

অনুশীলনী-৩
০১) নিচের কোনটি চলিত রীতির শব্দ?
ক) তুলা খ) শুকনো
গ) পড়িল ঘ) সহিত
০২) ‘উহা’ কোন রীতির শব্দ?
ক) সাধু খ) চলিত
গ) উভয় রীতির ঘ) আঞ্চলিক
০৩) ‘বন্য’ শব্দটির চলিত রূপ কোনটি?
ক) বন্যে খ) বুনো
গ) বনো ঘ) বন্য
০৪) ‘বুনো’ কোন ভাষারীতির শব্দ?
ক) সাধু ভাষা খ) কথ্য ভাষা
গ) আঞ্চলিক ভাষা ঘ) চলিত ভাষা
০৫) ‘চকিত হইয়া’ শব্দটির চলিত রূপÑ
ক) চকিত হয়ে খ) চকিত হইয়া
গ) চকিতে ঘ) চমকে
০৬) ‘পার হইয়া’ এই ক্রিয়া পদের সাধু রূপটি চলিত রূপে রূপান্তর করলে হবেÑ
ক) পার হয়ে খ) পারায়ে
গ) পেরিয়ে ঘ) পার হইয়ে
০৭) ‘ছড়ালে’এর সাধু রূপÑ
ক) ছড়াইলে খ) ব্যপ্তিলে
গ) ব্যাপ্ত হইলে ঘ) ছড়াইয়া দিলে
০৮) ‘কিয়ৎক্ষণ’ শব্দের সঠিক চলিতরূপ কোনটি?
ক) কিছুক্ষণ খ) কিছু সময়ে
গ) কয়েকক্ষণে ঘ) কয়েক মুহূর্ত
০৯) চলিত রীতিতে কোন শব্দটি ব্যবহৃত হয় না?
ক) তুলা খ) ওরা গ) হলেন ঘ) তিনি

১০) কোনটি সাধুরীতির শব্দ?
ক) আজ খ) মিনতি গ) জল ঘ) জোসনা
১১) ‘জুতো’ শব্দটি কোন ভাষারীতির?
ক) সাধু খ) চলিত গ) প্রাকৃত ঘ) কোল
১২) সাধুরীতির শব্দ কোনটি?
ক) গ্রহ খ) গিন্নী
গ) কলেজ ঘ) কেতাব
১৩) ‘মেগো’ আঞ্চলিক রূপের শিষ্ট পদ্যরূপÑ
ক) আমাদিগের খ) মোদের
গ) আমরা ঘ) আমাদের
১৪) চলিত রীতির শব্দ কোনটি?
ক) শুষ্ক খ) শুকনা
গ) তুলা ঘ) তুলো
১৫) চলিত রীতির শব্দ নয় কোনটি?
ক) করবার খ) করার
গ) করিবার ঘ) করে।

অনুশীলনী-৩ উত্তর ০১. খ ০২. ক ০৩. খ ০৪. ঘ ০৫. ঘ
০৬. গ ০৭. ক ০৮. ক ০৯. ক, ঘ ১০. ঘ
১১. খ ১২. ক ১৩. খ ১৪. ঘ ১৫. গ

অনুশীলনী-৪

০১) কোন ভাষা-রীতিতে এ প্রশ্ন লেখা হয়েছে?
ক) সাধু রীতি খ) চলিত রীতি
গ) মিশ্র রীতি ঘ) লৌকিক রীতি
০২) কোন বাক্যে সাধু ও চলিত রীতির মিশ্রণ ঘটেছে?
ক) পাখি সব করে রব
খ) উদ্ভিদের প্রাণ আছে
গ) অতঃপর তারা চলিয়া গেল
ঘ) ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর
০৩) ‘যে কথা একবার জমিয়ে বলা গিয়াছে, তাহার পর তার ফেনইয়া ব্যাখ্যা করা চলে না।’ চলিত ভাষায় এ বাক্যে ভুলের সংখ্যা কয়টি?
ক) ২ খ) ৩ গ) ৪ ঘ) ৫
০৪) ‘অতঃপর বিভ্রান্তমুক্ত হয়ে রোগগ্রস্থ পিতা পুত্র সম্বন্ধে যা জানিতেন সবই খুলে বলিলেন’। সাধু ভাসায় এ বাক্যটিতে ভুলের সংখ্যা কয়টি?
ক) চার খ) পাঁচ গ) ছয় ঘ) সাত
০৫) ‘তিনি হাঁটিতে হাঁটিতে ভাবিতেছিলেন, শুধুমাত্র মণিষী-বাক্যেই তো জীবন্মৃত যুবসমাজের কল্যাণ বহিয়া আনিতে যথেষ্ট নহে।’ চলিত রীতিতে লেখা বাক্যটিতে ভুলের সংখ্যাÑ
ক) সাত খ) নয়
গ) আট ঘ) দশ
০৬) ‘একদা মরণ-সমুদ্রের বেলা ভূমিতে দঁড়াইয়া কোন এক আরবীয় সাধক বলিয়াছিলেন।’
ক) চলিত রীতি খ) সাধু রীতি
গ) মিশ্র রীতি ঘ) বিদেশি রীতি
০৭) “জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার প্রহারে দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটিতে লাগিল।” -সাধু ভাষায় লিখিত বাক্যটিতে ভুলের সংখ্যা কয়টি?
ক) তিন খ) চার গ) পাঁচ ঘ) ছয়
০৮) সাধু ভাষায় কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
ক) এখানে সে ফিরে আসেনি
খ) সে আসিবে বলিয়া ভরসাও করিতেছি না
গ) তিনি মূর্ছিত হয়ে পেড়েছেন
ঘ) তুমি তার কথা বিশ্বাস করো না
০৯) ‘এইরূপ সাদৃশ্য অনেক চক্ষে পড়িবে’Ñ এর চলিতরূপ লিখুনÑ
ক) এরকম সাদৃশ্য অনেক চোখে পড়বে
খ) এইরূপ সাদৃশ্য অনেকগুলো চোখে পড়বে
গ) এরকম সাদৃশ্য অনেকগুলি চোখে পড়বে
ঘ) এরকম সাদৃশ্য অনেকগুলো চক্ষে পড়বে
১০) কোন বাক্যটি চলিত ভাষায় লেখা?
ক) সে কাজ করিয়া বাড়ি ফিরছিল
খ) বাবা তার সম্পত্তি ছেলেদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন
গ) জড়ায় তাহার মন নাই
ঘ) এতদ্ভিন্ন বহু স্থলে এরূপ হইয়া থাকে
১১) ‘তোমাকে দেখে খুবই খুশি হলাম’। এই বাক্যটি কোন ভাষা রীতিতে লেখা?
ক) সাধু খ) চলিত
গ) আঞ্চলিক ঘ) কথ্য
অনুশীলনী-৪ উত্তর ০১. খ ০২. গ ০৩. গ ০৪. ক ০৫. ক ০৬. খ
০৭. খ ০৮. খ ০৯. ক ১০. খ ১১. খ

Leave a Reply