বাংলা ব্যাকরণে কারক ও বিভক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ধরে আছে। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা সহ সকল প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণ অংশে ভালো করতে হলে কারক ও বিভক্তি অংশটি ভালো করে আয়ত্ব করতে হবে। আজকের পোস্টে যে কারক বিভক্তি সম্পর্কে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে তা টেবিল অফ কন্টেন্ট এ দেখুন। কারক ও বিভক্তি বিস্তারিত আলোচনা [ez-toc] কারক কাকে বলে? বাক্যে ব্যবহৃত ক্রিয়াপদের সাথে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। অন্যভাবে বলতে গেলে বাক্যের ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের সম্পর্কই হলো কারক। কারক কত প্রকার? এনসিটিবি প্রণীত নবম দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী কারক ৬ প্রকার যথা:- কর্তৃকারক কর্ম কারক করণ কারক সম্প্রদান কারক অপাদান কারক অধিকরণ কারক বিভক্তি কাকে বলে? বাক্যে একাধিক পদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির জন্য একটি শব্দের সাথে যে বর্ণ যুক্ত হয় তাকে বিভক্তি বলে। বিভক্তি কত প্রকার? বিভক্তি সাত প্রকার। যথা: বিভক্তি একবচন বহুবচন ১মা বা শূন্য ০, অ, এ (য়), তে, এতে রা, এরা, গুলি (গুলো), গণ। ২য়া ০, অ, কে, রে (এরে), এ, য়, তে দিগে, দিগকে, দিগেরে, দের। ৩য়া দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক দিগের দিয়া, দের দিয়া, দিগকে দ্বারা, দিগ কর্তৃক, গুলির দ্বারা, গুলিকে দিয়ে, গুলো দিয়ে, গুলি কর্তৃক, দের দিয়ে। ৪র্থী কে, রে, এরে দিগকে, দেরকে, দিগেরকে, দিগেরে ৫মী হইতে, থেকে, চেয়ে, হতে দিগ হইতে, দের হইতে, দিগের চেয়ে, গুলি হইতে, গুলির চেয়ে, দের হতে, দের থেকে, দের চেয়ে। ৬ষ্ঠী র, এর দিগের, দের, গুলির, গণের, গুলোর ৭মী এ, য়, তে, এতে দিগে, দিগেতে, গুলিতে, গণে, গুলির মধ্যে, গুলোতে, গুলোর মধ্যে। কারক চেনার সহজ উপায় 🔶🔶 কর্তৃকারক: যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। অর্থাৎ, ক্রিয়ার সাথে ‘কে’ বা ‘কারা’ যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায, তা-ই কর্তৃকারক। যেমন− সুজন ক্রিকেট খেলে। যদি প্রশ্ন করা হয় − কে ক্রিকেট খেলে? তাহলে উত্তর পাওয়া যাবে- ‘সুজন’। অতএব, ‘সুজন’ কর্তৃকারক। কর্তৃকারকের প্রকারভেদ: বাক্যের কি্িযযা সম্পাদনের বৈচিত্র্য এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কর্তৃকারক চার প্রকার। যেমন- (ক) মুখ্য কর্তা, (খ) প্রযোজক কর্তা, (গ) প্রযোজ্য কর্তা ও (গ) ব্যতিহার কর্তা। ক. মুখ্য কর্তা: যে কর্তা নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে মুখ্য কর্তা বলে। যেমন− মামুন সাঁতার কাটছে। খ. প্রযোজক কর্তা: যে কর্তা অন্যকে দিয়ে ক্রিয়া সম্পাদন করায় তাকে প্রযোজক কর্তা বলে। যেমন- মা শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেন। গ. প্রযোজ্য কর্তা: প্রযোজক কর্তা যাকে দিয়ে ক্রিয়া সম্পাদন করায়, তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে। যেমন- রাখাল গরু চরায়। উপরিউক্ত ‘রাখাল গরু চরায়’ বাক্যে ‘রাখাল’ প্রযোজক কর্তা এবং ‘গরু’ প্রযোজ্য কর্তা। অনুরূপ- শিক্ষক ছাত্রকে পড়াচ্ছেন। মা ছেলেকে দুধ খাওয়ায়। ঘ. ব্যতিহার কর্তা: দুটো কর্তা একত্রে এক জাতীয় ক্রিয়া সম্পাদন করলে, তাকে ব্যতিহার কর্তা বলে। যেমন− বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খায়। সাপে-নেউলে লড়াই হচ্ছে। বাপে-বেটায় ঝগড়া করছে। রাজায় রাজায় লড়াই, উলু খাগড়ার প্রাণান্ত। রাম-রাবণে করে রণ। কর্তৃকারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার: ১. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি − সুমান বই পড়ে। ২. দ্বিতীয়া বিভক্তি − আমাকে যেতে হবে। ৩. তৃতীয়া বিভক্তি − তোমার দ্বারা এ কাজ হবে না। ৪. পঞ্চমী বিভক্তি − আমা হতে এ কাজ হবে না সাধন। ৫. ষষ্ঠী বিভক্তি − করিমের যাওয়া হয়নি। ৬. সপ্তমী বিভক্তি− ‘এ’ বিভক্তি − সেয়ানে সেয়ানে বেঁধেছে ঝগড়া ‘য়’ বিভক্তি − ঘোড়ায় ঘাস খায়। ‘তে’ বিভক্তি − বুলবুলিতে ধান খেয়েছে। 🔶🔶 কর্মকারক: কর্তা যা করে বা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্মকারক বলে। বাক্যের অন্তর্ভুক্ত ক্রিয়া পদকে ‘কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা-ই কর্মকারক। যেমন− জেলেরা মাছ ধরে। কর্মকারকের প্রকারভেদ: কর্মকারক কয়েক প্রকারের হতে পারে। যেমন− ক. মুখ্য কর্ম বা বস্তুবাচক কর্ম: দ্বিকর্মক ক্রিয়ার দুটো করে কর্ম থাকে। একটি বস্তুবাচক, অপরটি ব্যক্তিবাচক। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্মকে মুখ্য কর্ম বলে। মুখ্যকর্মে বিভক্তি যুক্ত হয় না। যেমন− বাবা আমাকে জামা কিনে দিয়েছেন। এ বাক্যে− ‘জামা’ মুখ্য কর্ম এবং ‘আমাকে’ গৌণ কর্ম। কারণ ‘জামা’ শব্দটির সাথে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়নি। খ. গৌণ কর্ম/ব্যক্তিবাচক কর্ম: দ্বিকর্মক ক্রিয়ার ব্যক্তিবাচক কর্মকে গৌণ কর্ম বলে। যেমন- তিনি আমাকে একটি কলম উপহার দিয়েছেন। এ বাক্যে− ‘আমাকে’ গৌণ কর্ম এবং ‘কলম’ মুখ্য কর্ম। কারণ ‘আমাকে’ শব্দটির সঙ্গে ‘কে’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। গ. উদ্দেশ্য কর্ম: বিভক্তিযুক্ত স্বাভাবিক কর্মকে উদ্দেশ্য কর্ম বলে। যেমন− তিনি আমাকে সত্যবাদী বলেছেন। ঘ. বিধেয় কর্ম: বিভক্তিহীন দ্বিতীয় অতিরিক্ত কর্মকে বিধেয় কর্ম বলে। যেমন− দুধকে মোরা দুগ্ধ বলি, হলুদকে বলি হরিদ্রা। তিনি দেশকে জননী ভাবতেন। ঙ. সমধাতুজ কর্ম: কোন কোন অকর্মক ক্রিয়ার ক্ষেত্রে সেই ক্রিয়াজাত কোন শব্দকে কর্মরূপে ব্যবহার করে ক্রিয়া নিষ্পন্ন করতে হয়; এরূপ কর্মকে সমধাতুজ কর্ম বলে। যেমন− সে বেশ এক ঘুম ঘুমিয়েছে। সে কি কান্নাই কাঁদল। কর্মকারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার: ১. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি − সে ভাত খায়। ২. দ্বিতীয়া বিভক্তি − ধোপাকে কাপড় দাও। ৩. ষষ্ঠী বিভক্তি − তোমার দেখা পেলাম না। ৪. সপ্তমী বিভক্তি − জিজ্ঞাসিব জনে জনে। বি.দ্র. কর্মকারকে সাধারণত দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। 🔶🔶 করণকারক: কর্তা যে উপায়ে বা যার দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণকারক বলে। ‘করণ’ শব্দটির অর্থ− যন্ত, সহায়ক উপায়। যেমন− জেলেরা জাল দ্বারা মাছ ধরে। লাঙ্গল দ্বারা জমি চাষ করা হয়। করণকারকের প্রকারভেদ: করণ কারক তিন প্রকার। যথা− ক. উপায়াÍক করণ; খ. হেত্বার্থক করণ, গ. উপলক্ষণে করণ। ক. উপায়Íক করণ: যে উপায় দ্বারা ক্রিয়া সাধিত হয়, তাকে উপায়Íক করণ বলে। যেমন− মন দিয়া কর সবে বিদ্যা উপার্জন। তার বাঁশির সুরে ঘরে থাকা দায়। খ. হেত্বার্থক করণ: হেতু বা কারণ বোঝাতে হেত্বার্থক করণ হয়। যেমন− আনন্দে সে হাসতে লাগল। শোকে সে বিহŸল হয়ে গেল। গ. উপলক্ষণে করণ: লক্ষণ বা চিহ্ন বোঝাতে উপলক্ষণাÍক করণ হয়। যেমন− শিকারি বিড়াল গোঁফে চেনা যায়। বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা বীরের বেশে মাঠে নামলো। করণকারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার: ১. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি − প্রদীপ বল খেলে। ২. তৃতীয়া বিভক্তি − ছুরি দিয়ে আম কাট। ৩. সপ্তমী বিভক্তি − এ কলমে লেখা হয় না। ফুলে ফুলে সাজানো বাসর। মায়ের কথা মধুতে মাখা। এ সুতায় ভালো কাপড় হয় না। 🔶🔶 সম্প্রদান কারক: যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন− ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। সম্প্রদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার: ১. চতুর্থী বিভক্তি − দরিদ্রকে দান কর। ২. সপ্তমী বিভক্তি − দীনে দয়া কর। অন্ধজনে দেহ আলো। সমিতিতে চাঁদা দাও। কোন কিছুর নিমিত্ত বোঝালে সম্প্রদান কারক হয় এবং ‘কে’ বিভক্তি থাকলে তা চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন− বেলা যে পড়ে এল জলকে চল। (নিমিত্তার্থে চতুর্থী) বি: দ্র: সম্প্রদান কারকে সাদারণত চতুর্থী বিভক্তি হয়। 🔶🔶 অপাদান কারক: যা তেকে কোন কিছু গৃহীত, জাত, বিচ্যুত, আরম্ভ, ভীত, উৎপন্ন, দূরীভূত, রক্ষিত ইত্যাদি হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। অর্থাৎ, যা থেকেি ক্রয়া প্রকাশিত হয় তার নাম অপাদান কারক। যেমন− গৃহীত − মেঘ হতে বৃষ্টি হয়। ভীত − যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়। জাত− খেজুর রসে গুড় হয়। উৎপন্ন − জমি থেকে ধান হয়। বিচ্যুত − গাছ থেকে পাতা পড়ে। দূরীভূত − এ দেশ থেকে সব অন্যায় দূর করে দাও। আরম্ভ − সোমবার থেকে কাজে যোগ দাও। রক্ষিত − বিপদ হতে রক্ষা কর। অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার: ১. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি − মনে পড়ে সেই চৈত্র দুপুরে পাঠশালা পলায়ন। ২. দ্বিতীয়া বিভক্তি − ভ‚তকে আবার কিসের ভয়? ৩. ষষ্ঠী বিভক্তি − এখানে সাপের ভয় আছে। ৪. সপ্তমী বিভক্তি − তিলে তৈল হয়। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। টাকায় টাকা হয়। অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তি ছাড়াও হইতে, হতে, দিযা, দিয়ে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহ্রত হয়। যেমন− হইতে/হতে − দূর হতে শুনি মহাসাগরের গান। থেকে − তিনি ঢাকা থেকে আসলেন। দিয়া/দিয়ে − তার চোখ দিয়ে জল ঝরছে। চেয়ে − জননী এবং জš§ভ‚মি স্বর্গের চেয়ে বড়। 🔶🔶 অধিকরণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধার (স্থান- কে অধিকরণ কারক বলে। ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার জন্য স্থান, কাল ও বিষয়ের প্রয়োজন হয়। যে স্থানে, যে কালে কিংবা যে বিষয়ে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হয়, সেক্ষেত্রে অধিকরণ কারক হয়। যেমন− কাল (সময়) − বিকালে সূর্য ডুবে। সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি। আধার (স্থান) − আকাশে তারার মেলা। বাগানে ফুল ফুটছে। বিষয় − ছেলেটি অংকে দুর্বল। অধিকরণ কারকের প্রকারভেদ: অধিকরণ কারক চার প্রকার। যেমন− ক. কালাধিকরণ; খ. আধারিকরণ; গ. বিষয়াধিকরণ; ঘ. ভাবাধিকরণ। ক. কালাধিকরণ: যে কালে বা সময়ে ক্রিয়া স¤ক্সন্ন হয়, তাকে কালাধিকরণ বলে। যেমন− আমরা সকালে রওনা হব। পনের তারিখে পরীক্ষা ফল প্রকাশ হবে। খ. আধারাধিকরণ: ক্রিয়া সংঘটনের স্থানকে বলে আধারাধিকরণ। যেমন− তিনি ঢাকায় বাস করেন। তার মুখে মধু, অন্তরে বিষ। গ. বিষয়াধিকরণ: কোন বিষয়ে কিংবা কোন বিশেষ গুণে কারও দক্ষতা বা অদক্ষতা এবং ক্ষমতা ও অক্ষমতা বোঝালে বিষয়াধিকরণ কারক হয়। যেমন− সে ইংরেজিতে ভালো কিন্তু অংকে কাঁচা বাঙালিরা সাহসে দুর্জয়। ঘ. ভাবাধিকরণ: কোন ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য যদি অন্য ক্রিয়ার কোনরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তাহলে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সবসময় সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ করে। যেমন− সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়। কান্নায় শোক মন্দীভ‚ত হয়। কারক ও বিভক্তি নির্ণয়ের সহজ ও নির্ভুল উপায় বিভক্তি নির্ণয়ের নিয়ম: যে পদের নিচে রেখাঙ্কিত পদ থাকবে বা মোটা বর্ণে লিখিত থাকবে − প্রথমে লক্ষ রাখতে হবে যে রেখাচিহ্নিত পদের পর অনুসর্গ বিভক্তি অর্থাৎ দ্বারা/দিয়া/কর্তৃক (৩য়) বা হইতে (হতে)/থেকে/চেয়ে/অপেক্ষা ৫মী বিভক্তি আছে কিনা, থাকলে সেক্ষেত্রে ৩য়া বা ৫মী উলেখ করতে হবে। যেমন− শাক দিয়া মাছ ঢেকো না− ৩য়া শীতে গাছ থেকে পাতা ঝরে। যদি অনুসর্গ বিভক্তি না থাকে তাহলে বিভক্তি যুক্ত পদ থেকে মূল পদ বা দিলে যেটুকু থাকবে সেটুকু যে বিভক্তি হয় সেটাই উলেখ করতে হবে। যেমন− পাগলে কি না বলে। পাগল বাদ দিলে এ থাকে = এ সুতরাং − ৭মী। রহিমকে যেতে হবে। রহিম = কে অর্থাৎ ২য়া যদি সম্প্রদান কারক হয় তবে কে = ৪র্থী গুরুজনকে ভক্তি কর।− ৪র্থী। লাঠির আঘাতে। − ৬ষ্ঠী লাঠি = র যদি কোন বিভক্তি না থাকে তবে শূন্য বা ১মা হবে। তীর বেধা পাখি। শূন্য/১মা তীর = ০/১ কারক নির্ণয়ের অভিন্ন উপায় প্রত্যেক কারকেরই একটি নির্দিষ্ট বিভক্তি আছে। যেমন− কর্তৃ − ১মা অ, আ কর্ম − ২য়া কে করণ − ৩য়া, দ্বারা সম্প্রদান − কে ৪র্থী অপাদান − ৫মী, হইতে, থেকে অধিকরণ − ৭মী এ, য়, তে বিশেষত কর্ম এবং করণ কারকে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন− করিম বই পড়ে। আমরা ২য়া ও ৩য়া উভয় বিভক্তি যুক্ত করে দেখিনি কোন বিভক্তিতে বাক্যটি অর্থবহ হয়। করিম বই পড়ে: করিম বইকে পড়ে (অর্থবহ) করিম বই দ্বারা পড়ে (নয়) ফল এটি কর্ম কারক। কারণ কর্মকারকের নিজস্ব বিভক্তি কে তে অর্থবহ হয়েছে। করিম তাস খেলে। করিম তাস কে খেলে। (অর্থবহ না) করিম তাস দ্বারা খেলে। (অর্থবহ) সুতরাং এটি করণ। অপাদান ও অধিকরণ কারকেও এভাবে সমাধান করা যাবে। তিলে তৈল হয়। তিল হইতে তৈল হয়। (অর্থবহ) তিলে তৈল হয়। (অর্থবহ) উভয় ক্ষেত্রে অর্থবহ হলে, সে ক্ষেত্রে যদি অতিথি বিবক্তিতে অর্থবহ হয় তাহলে তার গুরুত্বই প্রধান। উপরের উদাহরণে অপাদান কারক হবে। ছাদে বৃষ্টি পড়ে। এটি অপাদান কারক। কারণ ছাদ স্থান হওয়া সত্তে¡ও অপাদানের বিভক্তিতে বাক্য অর্থব হচ্ছে, ফলে তার অগ্রাধিকার। ছাদ হইতে বৃষ্টি পড়ে। বাক্যটি অর্থবহ। রোববার স্কুল খুলবে। (i) রোববারে স্কুল খুলবে। (অর্থবহ) (ii) রোববার হইতে স্কুল খুলবে (অর্থবহ) যেহেতু সময় অধিকরণ কারকের শর্ত। কিন্তু সেক্ষেত্রে এ বিভক্তি দিয়ে অর্থ তো হবেই, যেহেতু হইতে (অতিথি বিভক্তি) প্রয়োগেও অর্থ হচ্ছে, তখন সেক্ষেত্রে ৫মী বিভক্তির কারণে অবশ্যই অপাদান কারক হবে। ট্রেন ঢাকা ছাড়ল। (i) ট্রেন ঢাকায় ছাড়ল (অর্থ হয় না) (রর) ট্রেন ঢাকা হইতে ছাড়ল (অর্থবহ) সুতরাং অপাদান কারক। এমনিভাবে কারক, নির্ণয় করলে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হয়। কি প্রশ্নে জবাব মিললে কর্ম? কি দ্বারা প্রশ্নে জবাব মিললে করণ কারক হয়? এমন বললে ছাত্রছাত্রীকে আগে জেনে নিতে হয় জবাবটি। কারণ− ছেলেটি বল খেলে। কি খেলে? বল কি দ্বারা খেলে? বল। একই জবাব, তাহলে ছাত্রটি কোন কারক লিখবে? তার তো জানা নেই যে, এটি করণ। ফলে সে কর্ম বা করণ যে কোন একটি লিখে আসতে পারে। অথচ কর্ম লিখলে তো ভুল হবে। যদি সে যদি বলকে খেলে। বল দ্বারা খেলে। এভাবে ব্যাখ্যা করে দেখে যে কর্ম বল তার সাথে অতিথি বিভক্তি যুক্ত হওয়ায় বাক্যটি অর্থবহ হচ্ছে, ফলে তখন করণ লিখবে এবং সঠিক জবাব হবে। অধিকরণ কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার: ১. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি − বাবা বাড়ি নেই। ২. দ্বিতীয়া বিভক্তি − হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে। ৩. তৃতীয়া বিভক্তি − এ পথ দিয়ে এসো না। ৪. পঞ্চমী বিভক্তি − ছাদ থেকে নদী দেখা যায়। ৫. সপ্তমী বিভক্তি − তিনি বাড়িতে নেই। রাতে জ্যোৎনা হাসে। ➡️ অনুসর্গের ব্যবহার ঘরের মধ্যে কে রে? শিশুটি মায়ের পাশে ঘুমুচ্ছে। নদীর নিকটে গাছ ছিল। কারকে বিভক্তির ব্যবহার 🔶🔶 বিভিন্ন কারকে শূন্য বিভক্তির প্রয়োগ: কর্তৃকারক − জল পড়ে পাতা নড়ে। কর্মকার − সে ইতিহাস পড়ে। করণকারক − ছেলেরা তাস খেলে। সম্প্রদান কারক − দিব তোমা ভক্তি শ্রদ্ধা। অপাদান কারক − গাড়ি ঢাকা ছাড়ল। অধিকরণ কারক − রবিবার ব্যাংকে যাব। 🔶🔶 বিভিন্ন কারকে সপ্তমী (এ) বিভক্তির প্রয়োগ: কর্তৃকারক − ছাগলে কি না খায়। কর্মকারক − জিজ্ঞাসিব জনে জনে। করণকারক − এ করমে লেখা হয় না। সম্প্রদান − অন্ধজনে দযঅ কর। অপাদান − তিলে তৈল হয়। অধিকরণ − আকাশে চাঁদ উঠেছে। 🔶🔶 বিভিন্ন কারকে ‘কে’ (২য়া ও ৪র্থী) বিভক্তির প্রয়োগ: কর্তৃকারক − আমাকে যেতে হবে। কর্মকারক − চেলেকে বই কিনে দাও। করণকারক − এই বালককে দিয়া একাজ হবে না। সম্প্রদান − দরিদ্রকে দান কর। অপাদান − আমি তাকে ডরাই না। 🔶🔶 বিভিন্ন কারকে ষষ্ঠী (র/এর) বিভক্তি প্রয়োগ: কর্তৃকারক − আমার খাওয়া হয়নি। কর্মকারক − তোমার দেখা পেলাম না। করণকারক − কাচের জিনিস সহজে ভাঙ্গে। সম্প্রদান − যাকাতের টাকা দিয়ে দাও। অপাদান − যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়। অধিকরণ − এই পুকুরের পানি ভালো। 🔶🔶 বিভিন্ন কারকে ৫মী বিভক্তির প্রয়োগ: কর্তৃকারক − আমা হতে একাজ হবে না সাধন। করণকারক − ভালো ছাত্র হতে ভালো ফল আশা করা যায়। অপাদান − দুধ হতে ঘি হয়। অধিকরণ − বাড়ি হতে নদী দেখা যায়। কারক ও বিভক্তি উদাহরণ অ ➡️ অঙ্গে আঁচল সুনীল বরণ, রুনঝুনু রবে বাজে আভরণ− অধিকরণে সপ্তমী/ কর্তায় শূন্য। অহঙ্কারই পতনের মূল − করণে শূন্য। অন্ধজনে দয়অ কর − সম্প্রদানে সপ্তমী। অলি বারবার ফিরে যায় − কর্তায় শূন্য। অধ্যয়নে বিরত হয়ো না − অপাদানে সপ্তমী। অল্পবিদ্যা ভয়ংকর − কর্মে শূন্য। অণুতে গঠিত হিমাচল − করণে সপ্তমী। অন্ন চাই, প্রাণ চাই − কর্মে শূন্য। অহঙ্কারে পতন আনে − করণে সপ্তমী। অর্থ অনর্থ ঘটায় − করণে শূন্য, কর্মে শূন্য। অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথ। − করণে সপ্তমী। অভিমানে কেন ত্যাজিলা পারাণ− অপাদানে সপ্তমী, কর্মে শূন্য। অতি বড় বৃদ্ধ পতি সিদ্ধিতে নিপুণ।− কর্তায় শূন্য, অধিকরণে সপ্তমী। আ ➡️ আমি কি ডরাই সখি ভিখারি রাঘবে?− কর্মে সপ্তমী। আয়রে পাখি লেজ ঝোলা − কর্তায় শূন্য। আমারে লহ তুমি করুণা করে − কর্মে দ্বিতীয়। আমারে তুমি করিবে ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা।− কর্মে দ্বিতীয়া। আমায় কেন দাওনা তুমি সকল শূন্য করে। − সম্প্রদানে সপ্তমী। আমার স্বপন আধো জাগরণ − কর্মে শূন্য। আপন পাঠেতে মন করহ নিবেশ।− অধিকরণে সপ্তমী। আজ হবে না কাল এসো − অধিকরণে শূন্য। আকাশ এত মেঘলা যেয়ো নাকো একলা।− অধিকরণে শূন্য। আকাশ মেঘে ঢাকা − করণে সপ্তমী। আমারি সোনার ধানে গিয়াছে ভরি − করণে সপ্তমী। আজকে তোমায় দেখতে এলাম জগৎ আলো ন�রজাহান।− অধিকরণে দ্বিতীয়া। আকাশের ঐ মিটিমিটি তারার সাথে কইব কথা।− অধিকরণে ষষ্ঠী। আমি দেশে থাকি − অধিকরণে সপ্তমী। আজি রজনীতে হয়েছে সময়− অধিকরণে শূন্য, অধিকরণে সপ্তমী। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।− অধিকরণে ষষ্ঠী। আগুনে সেক দাও।− করণে সপ্তমী। আমা হতে এ কাজ হবে না− অপাদানে ৫মী। আমরা ঘরে বসে পাহাড় দেখি।- অধিকরণে সপ্তমী। আমার বাড়ি থেকে আযানের ধ্বনি শোনা যায়।− অপাদানের পঞ্চমী। আমাদের ছাদে পানি পড়ে− অদিকরণে সপ্তমী। আমায় একখানা বক্স দাও− কর্মে সপ্তমী। আর স্কুল পালিয়ো না।− অপাদানে শূন্য। আমারি এ গোলা ফসলে গিয়েছে ভরি।− করণে সপ্তমী। আমরা কানে শুনি − করণে সপ্তমী। আলাহকে ডাক। − কর্মে দ্বিতীয়া আÍার স¤ক্সর্কই হলো আÍীয় − কর্মে শূন্য। আচার ব্যবহারে ভদ্র−অভদ্র চেনা যায়।− অপাদানে সপ্তমী। আমাদের একটি গল্প বলুন− কর্মে শূন্য। আমার ভাত খাওয়া হলো না− কর্মে শূন্য। আমি তোমা বিনা আর কাহাকেও জানিনা− কর্মে শূন্য। আমি কখনো গঙ্গা দেখি নাই − কর্মে শূন্য। আমার পিপাসা লেগেছে − কর্তায় ৬ষ্ঠী। আমারে করহ তোমার বীণা। − কর্মে দ্বিতীয়া। ই, ঈ ➡️ ইট পাথরের বাড়ি বড় শক্ত − করণে ষষ্ঠী ঈগল হলো পাখির রাজা − কর্তায় শূন্য। ঈদের চাঁদ দেখমে মজা। − কর্মে শূন্য। ঈর্ষা নিলে হয় সে দোষী − কর্মে শূন্য। উ ➡️ উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ। অধিকরণে সপ্তমী। উট চলেছে মরুর দেশে − অধিকরণে সপ্তমী। ঊ ➡️ ঊর্ননাভ শিল্পকর্মে শ্রেষ্ঠ কারুকার − কর্তায় শূন্য। ঊর্মি কখন ঢাকা ছাড়ে − অপাদানে শূন্য। ঋ ➡️ গ্রহণ করেছে যত, ঋণী তত করেছ আমায় − করণে শূন্য। ঋণ করে ঘি খাও − কর্মে শূন্য। ঋণ করো না − কর্মে শূন্য। এ ➡️ এ বাগান ফুলের গন্ধে ভরপুর। − করণে ৭মী। এখনই নামবে অন্ধকার − কর্মে শূন্য। এ যে লেজে খেলায় − করণে সপ্তমী। এ কাজ আপনি নিজ হাতে করবেন − করণে ৭মী। এবারে সংগ্রাম দেশ গড়ার সংগ্রাম। − কর্মে ষষ্ঠী। এ বয়সে ঢের দেখা দেখেছি − কর্মে শূন্য। এমন নির্জীবের মতো বাঁচা নয়। − কর্মে শূন্য। একক্রোশ পথ ঘুরে বাড়ি এলাম। − কর্মে শূন্য। এমন মেয়ে তো দেখিনি কোন দিন − কর্মে শূন্য। এক যে ছিল চাঁদের কোণায় চরকা কাটা বুড়ি− অধিকরণে ৭র্মী। এটা তোমার বিবেচ্য − কর্তায় ৬ষ্ঠী। একদিন যাব − অধিকরণে শূন্য। এমন অদ্ভত জন্তু কেউ কখনও দেখেনি। − কর্মে শন্য। ঐ ➡️ ঐ দেখা যায় তালগাছ ঐ আমাদের গাঁ − কর্মে শন্য। ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে − অপাদানে সপ্তমী। ও ➡️ ও আমার দেশের মাটি − অধিকরণে ষষ্ঠী। ওকে হাতে নয়, ভাতে মারবো − করণে সপ্তমী। ওই ফুলটি তুলে নাও। − কর্মে শন্য। ক ➡️ কত ধানে কত চাল হয় আমি তা জানি − অপাদানে সপ্তমী। কেন বঞ্চিত হবো ভোজনে − অপাদানে সপ্তমী। কলমের খোঁচা দিও না − করণে ষষ্ঠী। কোন বনেতে ফুটলো যে ফুল − অধিকাণে সপ্তমী, কর্মে শূন্য। কোথা সেই বাঁধানো ঘাট অশ্বথতল − কর্মে শূন্য। কোথা সে ছায়া সখি কোথায় সে জল − কর্মে শূন্য। কে তোরে সাজালো দিয়ে পত্রপু®ক্স মালা − করণে শূন্য। কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল − কর্মে শূন্য। করিলাম মন শ্রীবৃন্দাবন বারেক আসিব ফিরে − কর্মে, শূন্য, অপাদানে শূন্য। কথায় কথা বাড়ে − কর্মে শূন্য। কথায় চিড়ে ভেজে না − করণে সপ্তমী, কর্মে শূন্য। কি সাহসে এমন কথা বললে − কর্মে সপ্তমী। কাজী নজরুল ইসলাম কর্তৃক অগ্নিবীণা রচিত − কর্মে শূন্য। কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা − কর্তায় ষষ্ঠী। এক গান শোনাও − কর্মে শূন্য। কবিগুরু গীতাঞ্জলি লিখেছেন − কর্মে শূন্য। কাজের বেলা গোল করো না − অধিকরণে শূন্য। কপালের লিখা খন্ডাবে কে? − অধিকরণে ৬ষ্ঠী কলমে লিখ − করণে সপ্তমী। কোকিল ডাকে − কর্তায় শূন্য। কোথা হতে আমি কোথা ভেসে যাই। − অপাদানে ৫মী কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না − কর্মে শূন্য। ক্রোধে কুলক্ষয় − কর্মে শূন্য। ক্রোধে পাপ, ক্রোধে তাপ − অপাদানে সপ্তমী কলের গান শোনাও − কর্মে শূন্য কপোল ভাসিয়া গেল দুই নয়নের জলে − কর্মে শূন্য। ক‚লে একা বসে আছি নাহি ভরসা − অধিকরণে সপ্তমী। কি করি আজ ভেবে না পাই − অধিকরণে শূন্য। কলসীটা কানায়-কানায় ভরে গেছে − অধিকরণে সপ্তমী। ক্রোধ থেকে জšে§ মোহ, মোহ থেকে পাপ − অপাদানে সপ্তমী। কি ভয় মরণে − রণে − অপাদানে সপ্তমী। খ ➡️ খোকা মাকে শুধায় ডেকে এলেম আমি খোকা থেকে − অপাদানে ৫মী খেদু বাবুর এদোঁপুকুর মাছে গেছে ভরে − অধিকরণে শূন্য। খুব ঠকা ঠকেছি − কর্মে শূন্য। গ ➡️ গৃহহীনে গৃহ দিয়ে আমি থাকি ঘরে − কর্তায় শূন্য, অধিকরণে সপ্তমী। গগণে গরজে মেঘ ঘন বরষা − অধিকরণে সপ্তমী। গত বিষয়ের জন্য শোক করিও না − কর্মে শূন্য। গৃহহীনে গৃহ দাও − কর্মে সপ্তমী। গীর্জায় গিয়ে যীশু ভজে সে − কর্মে শূন্য। গুণহীন চিরদিন পরাধীন রয় − কর্তায় শূন্য। গরুতে গরুতে লড়াই করছে − কর্তায় সপ্তমী। গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল − কর্তায় সপ্তমী। গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ − অধিকরণে শূন্য। ঘ ➡️ ঘরেতে ভ্রমর এলো গুগুনিয়ে − কর্তায় শূন্য। ঘরকে যাও − অধিকরণে দ্বিতীয়। ঘর কৈনু বাহির − কর্মে শূন্য। ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল − অধিকরণে সপ্তমী। চ ➡️ চাঁদ বুঝি তা জানে − কর্তায় শূন্য। চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ সেথা শির − কর্মে শূন্য। চোরের মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে − অপাদানে তৃতীয়। চেয়ারে বসে কাজ করে − অধিকরণে সপ্তমী। চোরের ভয়ে ঘুম আসে না − অপাদানে সপ্তমী। চাহিনা করিতে কোন বাদ − প্রতিদাব − কর্মে শূন্য। চিন্তায় চিন্তায় তার শরীর ভেঙেছে − করণে সপ্তমী, কর্মে শূন্য। চিন্তা রোগের ওষুধ নেই − কর্মে ৬ষ্ঠী। চন্ডীদাস কয় শুন পরিচয় −কর্তায় সপ্তমী। চিরদিন তোমারে চিনি − অধিকরণে শূন্য, কর্মে দ্বিতীয়া। ছ ➡️ ছোট্ট আমতারে মেয়ে অঙ্গিনীদের ডাক শুনতে পেয়ে। − কর্তায় শূন্য। ছিলাম নিশিদিন আশাহীন প্রবাসী − অধিকরণে শূন্য। ছাদে পানি পড়ে − অপাদানে সপ্তমী। ছয়ায় বস − অধিকরণে সপ্তমী। জ ➡️ জাহাজ থেকে দেখলাম − অধিকরণে পঞ্চমী। জলে কুমির ডাঙায় ভাগ − অধিকরণে সপ্তমী। জলে বা®ক্স হয় − অপাদানে সপ্তমী। জাহাজে সাগর পার হওয়া যায় − করণে সপ্তমী। জলকে চল − কর্মে দ্বিতীয়া। জুড়াল রে দিনের দাহ ফুরাল সব কাজ − কর্মে শূন্য। জš§ হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো − কর্মে শূন্য। জগতে কীর্তিমান হও সাধনায় − অধিকরণে সপ্তমী, করণে সপ্তমী। ঝ ➡️ ঝিকে মেরে বউকে শেখানো − কর্মে দ্বিতীয়া। ঝড় এলে ভয় হয় − অপাদানে শূন্য। ট ➡️ ট্রেন ঢাকা ছাড়লো − অপাদানে শূন্য। টাকা টাকা করে জীব গেল − কর্মে শূন্য। টাকায় বাঘের দুধ মিলে − করণে সপ্তমী। টাকা মাথায় দাও তেল, শুকনো মাথায় ভাঙ্গে বেল − অধিকরণে সপ্তমী। ঠ ➡️ ঠাট্টা কর সময় মত − কর্মে শূন্য। ঠান্ডা মাথায় কাজ কর − করণে সপ্তমী। ঠকবাজকে বিশ্বাস করো না − কর্তা দ্বিতীয়া। ড ➡️ ডাক্তারকে ডাক − কর্মে দ্বিতীয়া। ডালিয়া মালা গাঁথে − কর্মে শূন্য। ঢ ➡️ ঢাকা হতে কুমিলা বেশি দূরে নয়− অপাদানে ৫মী, অধিকরণে শূন্য। ঢাকনা দিয়ে রাখলে কেন?− কর্মে শূন্য। ণ-ত্ব বিধান জানলে ভালো − কর্মে শূন্য। ত ➡️ তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে− কর্মে দ্বিতীয়া, কর্মে শূন্য। তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবার দাও শক্তি − সম্প্রদানে চতুর্থী, কর্মে শূন্য। তুমি যদি চাঁদ হতে নীল আকাশে − কর্তায় শূন্য। আমার মনে জ্বলবে − অধিকরণে সপ্তমী। তুমি সন্ধ্যাকাশের তারার মতো − কর্তায় শূন্যইতনরাত ঘুম হয়নি অধিকরণে শূন্য। তর্কে বিরতি থাকাই ভালো − অপাদানে সপ্তমী। তোমায় কেন দেইনি আমার সকল শূন্য করে − সম্প্রদানে সপ্তমী। তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নযনের জলে − অধিকরণে শূন্য, করণে ৭মী। তোমার মহিমা যেন জ্বলন্ত অক্ষরে লেখা − করণে সপ্তমী। তিনি জাতিতে কায়স্থ − অধিকরণে সপ্তমী। তোমার বাণীর করিনি গ্রহণ ক্ষমা করো হযরত − কর্মে দ্বিতীয়া। তোমা কর্তৃক এ গ্রন্থ রচিত হয়েছে − কর্তায় তৃতীয়া। তুমি যে আমার কবিতা − কর্তায় শূন্য, কর্মে শূন্য। তারা পাঁচজনে যাবে − কর্তায় সপ্তমী। থ ➡️ থালা ভরা কই মাছ − অধিকরণে শূন্য। থানায় এজাহার দাও − অধিকরণে সপ্তমী। দ ➡️ দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে − কর্মে শূন্য। দুঃখের বেশে এসেছো বলে তোমারে নাহি ডরিহে − অধিকরণে সপ্তমী। দেবতার ধন কে যায় ফিরায়ে লয়ে − সম্প্রদানে শূন্য। দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে − কর্মে দ্বিতীয়া। দাসত্ব চিত্তকে সংকীর্ণ করে − কর্মে দ্বিতীয়া দারা নামে পারস্যের এক রাজা ছিলেন − কর্তায় শূন্য। দিনে দিনে শুধু বাড়িতেছে ঋণ − অধিকরণে সপ্তমী। দেশের জন্য প্রাণ দাও − সম্প্রদান শূন্য।/কর্ম দুই দণ্ডে চলে যাও দুদিনের পথ − অধিকরণে সপ্তমী। দুঃখে যাদের জীবন গড়া − অধিকরণে সপ্তমী। ধ ➡️ ধোপাক কাপড় দাও − কর্তায় সপ্তমী। ধনী দরিদ্রকে ইর্ষা করে − কর্মে দ্বিতীয়া। প ➡️ পরুল বনের চ¤ক্সারে মোর হয় জানা − কর্মে দ্বিতীয়া। পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল − কর্তায় শূন্য। প্রভাতে উঠিল রবি লোহিত বরণ − অধিকরণে সপ্তমী − কর্তায় শূন্য। পাপীকে ধিক − কর্মে দ্বিতীয়া। পণ্ডিতে পণ্ডিতে লড়াই চলে − কর্তায় সপ্তমী। পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির − অধিকরণে সপ্তমী, কর্তায় শূন্য। পরাজয়ে ডরে না বীর − অপদাানে ৭মী। প্রিয়জনে যাহা দিতে চাই তাহা দেই দেবতারে − সম্প্রদানে ৭মী। পাখিকে তীর মোরো না − করণে শূন্য। পরের মুখে শেখা বুলি − অপাদানে সপ্তমী। পক্বকেশ দেখতে বেশ − কর্মে শূন্য। পাপ থেকে শূন্য পৃথক − অপাদানে পঞ্চমী। ফ ➡️ ফুলদল দিয়অ কাটিলা কি বিধাতা শাল্মালী তরুবরে − কর্মে সপ্তমী। ফলে না বৃক্ষে সুমধুর ফল − অধিকরণে সপ্তমী। ব ➡️ বসন্তে, নানা করমের ফুল ফোটে − অধিকরণে সপ্তমী। বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর − অপাদানে ষষ্ঠী ব্যবহারেই ইতরভদ্র চেনা যায়− করণে সপ্তমী। বিহগে ললিত গীত শিখায়েছ ভালোবেসে − কর্মে সপ্তমী। বাজিল কাহার বীণা − কর্মে শূন্য। বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি খায় − কর্তায় সপ্তমী। বসন্তে কোকিল ডাকে − কর্তায় শূন্য। বিপদে অধীর হয়ো না − কর্মে শূন্য। বাজনা বাজে − কর্মে শূন্য। বিড়াল দুধ খায় − কর্মে শূন্য। বড় দুঃখে আপনার শরণ নিয়েছি − অপাদানে সপ্তমী। ভ ➡️ ভোরে সূর্য ওঠে − অধিকরণে সপ্তমী। ভয়কি মরণে − অপাদানে সপ্তমী ম ➡️ মীরার চেয়ে শিশির বড় − অপাদানে ৫মী। মিথ্যারে করো না উপাসনা − কর্মে ২য়া। মালাটারে তুমি রাখিও কিন্তু শক্ত করে ধরে − কর্মে দ্বিতীয়া। মানুষ অবস্থার অধীন − কর্তায় শূন্য। মূর্খে কি না বলে − কর্তায় সপ্তমী। মায়ের কাছে শোন − অপাদানে ষষ্ঠী। মীরা বাগানে ফুল তুলছে − কর্মে শূন্য। মশা মারতে কামান দাগা − কর্মে শূন্য। মা শিশুকে চাঁদ দেখান − কর্তায় দ্বিতীয়া, কর্মে শূন্য। মৃত্যুর আগে তিনি আমায় সবকিছু দিয়েছিলেন − সম্প্রদানে সপ্তমী। য ➡️ যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে − কর্মে শূন্য। যে ধনে হইয়া ধনী মনিরে মাননা মনি − কর্মে দ্বিতীয়া। যদি করি বিষপান তথাপি না যায় প্রাণ − কর্মে শূন্য। যাদুকর একটি আলুকে ডিম বানায় − কর্মে দ্বিতীয়া। র ➡️ রাতে ‘মশা দিনে মাছি এই নিয়ে কলকাতায় আছি − অধিকরণে সপ্তমী। রেখা মা দাসেরে মনে − কর্মে দ্বিতীয়া। রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি − কর্তায় শূন্য। রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে − কর্তায় শূন্য। রতনে রতন চিনে − কর্তায় সপ্তমী, কর্মে শূন্য। ল ➡️ লক্ষ এ সিন্দুরে প্রলয়ের নৃত্যে − কর্মে দ্বিতীয়া লোকে নিন্দা করে − কর্তায় সপ্তমী। শ ➡️ শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান অন্যে কভু নয় − কর্তায় শূন্য। শুধু বৈকুন্ঠের তরে নহে বৈষ্ণবের গান − সম্প্রদানে ষষ্ঠী। শ্রম বিনা ধন লাভ হয় না − করণে শূন্য। শরতের ধরাতল শিশিরে ঝলমল − করণে সপ্তমী। স ➡️ সর্বাঙ্গে ব্যথা ওষুধ দেব কোথা − অধিকরণে সপ্তমী। সমুদ্রে লবণ আছে − অধিকরণে সপ্তমী। স্কুল পালিয়ে রবীন্দ্রনাথ হতে চাও? − অপাদানে শূন্য। সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয় − করণে ৭মী, কর্মে শূন্য। সময়ে সাবধান হও − অদিকরণে সপ্তমী। সৌন্দর্যে কার না রুচি আছে − অধিকরণে ৭মী সর্বাঙ্গে দংশিত মোরে নাগ নাগবালা − অধিকরণে ৭মী সে নাচে তটিনী জল টলমল করে − কর্মে শূন্য। সোনার খাঁচা − করণে ষষ্ঠী। সময়ে সবই জানতে পারবে − অধিকরণে সপ্তমী। সে পীড়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছে − করণে সপ্তমী। সর্ব শিষ্যে জ্ঞান দাও − সম্প্রদানে সপ্তমী। সৈন্যদল যুদ্ধে যাচ্ছে − অধিকরণে সপ্তমী। হ ➡️ হালে যেমন তেমন মইয়ে তুফান − অধিকরণে সপ্তমী। হারি জিতি নাহি লাজ − কর্মে শূন্য। হিলোল ওদের বাড়ি খেয়ে এসেছে − অপাদানে শূন্য। হাতেতে যদি না ‘মারিতে, মারিতে শত ঠোঁটে − করণে সপ্তমী। কারক ও বিভক্তি প্রশ্ন উত্তর বিভক্তিহীন নাম শব্দকে কি বলে? উত্তর: প্রাতিপাদিক বলে। আরো পড়ুন: বিভক্তি যোগের নিয়ম