মঙ্গলকাব্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

মঙ্গলকাব্য

মঙ্গলকাব্য ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্য নামে খ্যাত। খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত এসব মঙ্গল কাব্য রচিত হয়েছে। অনেকের মতে এক মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী মঙ্গলবার পর্যন্ত পালাকারে গতি হতো বলে এর নাম মঙ্গলকাব্য। মঙ্গলকাব্যের প্রধান দুই দেবী হচ্ছেন মনসা ও চণ্ডী।

মঙ্গলকাব্যগুলো গীত হতো পূজানুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে। প্রতিটি কাব্য নির্দিষ্ট সংখ্যক পালায় বিভক্ত- মনসামঙ্গল ৩০ পালায়, চণ্ডীমঙ্গল ১৬ পালায়।

মঙ্গলকাব্য কয়টি

মঙ্গলকাব্য দু’ শ্রেণিতে বিভক্ত-
(১) পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য;
(২) লৌকিক মঙ্গলকাব্য। লৌকিক মঙ্গলকাব্যে বণিক ও নিন্মবর্ণেও মানুষের প্রাধান্য দেখা যায়।

মঙ্গলকাব্যের প্রধান ধারা কয়টি

মঙ্গলকাব্যের প্রধান ধারা ৩টি যথা-

  • মনসামঙ্গল
  • চণ্ডীমঙ্গল
  • ধর্মমঙ্গল

মঙ্গলকাব্যের প্রথম যুগের ভাষা স্থল ও গ্রাম্যতাপূর্ণ, মধ্যযুগের ভাষা সহজ ও সাবলীল এবং শেষ যুগের ভাষা অলঙ্কারসমৃদ্ধ।

— –মনসামঙ্গল কাব্য—-

সর্পসংকুল ভারতবর্ষে নানা মূর্তিতে সাপের পূজা হয়- উত্তর ভারতে সরীসৃপ মূর্তির, দক্ষিণ ভারতে জীবিত সর্পের পূজা হয়। পূর্বভারতে তথা বঙ্গদেশে মনসার ঘটের পূজা করা হয়। উত্তর ভারতে সাপের দেবতা বাসুকী পুরুষ বঙ্গদেশে মনসা নারী। মনসামঙ্গল কাব্য মঙ্গল কাব্যের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন মঙ্গলকাব্য। মনসামঙ্গল কাব্যের নাম চরিত্র লৌকিক দেবী-সর্পদেবী মনসা। মনসা দেবীর অন্য নাম- কেতকা ও পদ্মাবতী। মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান প্রধান চরিত্র- দেবী মনসা, চাঁদ সওদাগর, সনকা, বেহুলা ও লখিন্দর।

 –মনসামঙ্গল কাব্যের কবি —

✅ মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কানা হরিদত্ত। তার পুঁথি পাওয়া যায় নি। বিজয়গুপ্ত হরিদত্তকে মূর্খ ও ছন্দোজ্ঞানহীন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে মনসা কাহিনীর যে কাঠামো তিনি সৃষ্টি করেছেন তা কয়েক শত বছর ধরে অনুসৃত হয়েছে, এটি তার মৌলিকতার পরিচয়।

✅ সুস্পষ্ট সন তারিখযুক্ত মনসামঙ্গল কাব্যের প্রথম রচয়িতা কবি বিজয়গুপ্ত। তার কাব্যের নাম পদ্মপুরাণ। কবি বিজয়গুপ্ত বরিশাল জেলার গৈলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গৈলা গ্রামের প্রাচীন নাম ফুল্লশ্রী। কবি বিজয়গুপ্ত সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের শাসনামলে ১৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে কাব্য রচনায় প্রবৃত্ত হন। তার কাব্যের ব্যপক প্রচার হয়েছিল।

মনসামঙ্গল কাব্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি নারায়ণদেব। বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার বোরগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নারায়ণ দেব পঞ্চদশ শতকের শেষ ভাগের কবি। তার কাব্যের নাম ‘পদ্মপুরাণ’ পদ্মপুরাণের একটি চরণ-

“সিবলিঙ্গ আমি পূঁজি জেই হাতে
সেই হাতে তোমারে পূজিতে না লয় চিত্তে”

✅ কবি বিপ্রদাস পিপিলাই ১৪৯৫ সালে ‘মনসাবিজয়’ কাব্য রচনা করেন। চব্বিশ পরগণা জেলার নদুড়্যা চট্টগ্রাম (পাঠান্তরে বাদুড্যা) ছিল বিপ্রদাসের নিবাস। তার পিতা মুকুন্দ পণ্ডিত।

✅ বিজয় বংশীদাস রচিত মঙ্গলকাব্যের নাম ‘পদ্মপুরাণ’। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পাতুয়ারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিজ বংশীদাস কবি চন্দ্রাবতীর পিতা। চন্দ্রাবতী বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি। কবি দ্বিজ বংশীদাস সুকণ্ঠ গায়ক হিসেবেও খ্যাত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন শাস্ত্রে পণ্ডিত ছিলেন এবং বাড়িতে টোল চালাতেন।

✅ আরেক জনপ্রিয় কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ পশ্চিমবঙ্গের কবি। জনপ্রিয়তায় শ্রেষ্ঠ কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ-এর মূল নাম ক্ষেমানন্দ এবং কেতকাদাস তার উপাধি। কেতকা দেবী মনসার অপর নাম। কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ দেবীকর্তৃক আদিষ্ট হয়ে কাব্য রচনা করেছেন। কবি ক্ষেমানন্দের কাব্যে মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল ও রামায়ণ কাহিনীর প্রভাব রয়েছে।

✅ দেবনাগরী অক্ষরে ও আঞ্চলিক শব্দে লিখিত আর ও একটি পুঁথি আবিস্কৃত হয়েছে যার রচয়িতা ক্ষেমানন্দ নামে আরেক স্বতন্ত্র কবি।

✅ বাইশা: বাইশা কবির পদসংকলন বা ‘বাইশ কবির মনসামঙ্গল’ বা বাইশ কবির মনসা বা বাইশা নামে খ্যাত।

✅ মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতিবাদী চাঁদ সওদাগর। চাঁদ সওদাগরের স্ত্রীর নাম সনকা। চাঁদ সওদাগরের চৌদ্দ ডিঙ্গা মনসা ডুবিয়ে দিয়েছিল এবং ছয় পুত্রকে মেরে ফেলেছিল।

✅ বেহুলা স্বর্গের দেবতাদের নামে গানে সন্তুষ্ট করলে মৃত স্বামী লখিন্দরের জীবন ফিরে পায়। চাঁদ সওদাগর অন্যদিকে ফিরে বাম হাতে মনসার মূর্তিতে ফুল ছুড়ে দিলে পৃথিবীতে মনসার পূজা প্রচলিত হয়।

চণ্ডীমঙ্গল কাব্য

— –চণ্ডীমঙ্গল কাব্য—-

চণ্ডীদেবীর কাহিনী অবলম্বনে রচিত কাব্য চণ্ডীমঙ্গল কাব্য। চণ্ডীমঙ্গলকাব্য দুখণ্ডে বিভক্ত-

  • আক্ষেটিক খণ্ড;
  • বণিক খণ্ড।

আক্ষেটিক খণ্ডে বর্ণিত অংশের নাম কালকেতু উপাখ্যান। দ্বিতীয়খণ্ড বণিকখণ্ডে বর্ণিত হয়েছে ধনপতি সওদাগরের কাহিনী।

কালকেতু উপাখ্যানে দেবী চণ্ডী স্বর্ণগোধিকার ছদ্মবেশ ধারণ করেন। কালকেতু স্বর্ণগোধিকাকে শিকার করে ঘরে নিয়ে গেলে কালকেতুর ঘরে গিয়ে দেবী নিজ রূপ ধারণ করেন। কালকেতুকে সাত ঘড়া ধন দিয়ে পূঁজা প্রচারের নির্দেশ দেন। দেবীর নির্দেশে কালকেতু গুজরাটে বন কেটে নগর পত্তন করে। কালকেতু উপাখ্যানে বৌচণ্ডী স্বর্ণগোধিকার ছদ্মবেশ ধারণ করেন। কালকেতু স্বর্ণগোধিকাকে শিকার করে ঘরে নিয়ে গেলে কালকেতুর গরে গিয়ে দেবী নিজ রূপ ধারণ করেন। কালকেতুকে সাত ঘড়া ধন দিয়ে পূজা প্রচারের নির্দেশ দেন। দেবীর নির্দেশ কালকেতু গুজরাটে বন কেটে নগর পত্তন করে। কালকেতু মর্ত্যে আসার পূর্বে স্বর্গরাজ্যের দেবতা ইন্দ্রের পুত্র ছিল এবং তার নাম ছিল নীলাম্বর। ফুল্লরা ছিল নীলাম্বর, স্বর্গরাজ্যের নাম ছিল ছায়া। অভিশপ্ত হয়ে নীলাম্বর ও ছায়া মর্ত্যে ব্রাধের ঘরে জন্ম নেয়। ধনপতি সদাগরের কাহিনীর প্রধান চরিত্র ধনপতি সওদাগর, লহনা, খুল্লনা, দেবীচণ্ডী, সিংহল রাজ, শ্রীমন্ত।

— –চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কবি—-

✅ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি মানিক দত্ত। মানিক দত্ত গৌড় বা মালদহ অঞ্চলের লোক ছিলেন। তিনি কানা ও খোঁড়া ছিলেন। দেবী চণ্ডীর দয়ায় তিনি সুস্থ হন এবং স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে কাব্য রচনা করেন।

✅ দ্বিজ মাধব চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের অন্যতম কবি। তার কাব্যের নাম সারদামঙ্গল। সারদামঙ্গল কাব্য ১৫৭৯ খ্রিষ্টাব্দে রচিত। তার কাব্যে চণ্ডীর নাম ‘মঙ্গলচণ্ডী’। ‘মঙ্গল’ নামে অসুর বধ করে দেবী এই নামে পরিচিত হয়েছেন। তিনি কৃষ্ণমঙ্গল ও গঙ্গামঙ্গ নামে আরো দুটি কাব্য রচনা করেন।

✅ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি হল কবিকঙ্কন। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ষোড়শ শতকে বর্ধমান জেলার রত্মা নদীর কূলে দামুন্যা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ডিহিদার মাহমুদ শরীফের অত্যাচারের কারণে তিনি দামুন্যা ত্যাগ করে ব্রাহ্মণভূমির রাজা বাকুড়া রায়ের অড়রা গ্রামে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং তার ছেলে রঘুনাথের শিক্ষক নিযুক্ত হন। বাঁকুড়া রায়ের মৃত্যুর পর রঘুনাথ জমিদার হলে রঘুনাথে পৃষ্ঠপোষকতায় কবি মুকুন্দরাম ‘শ্রী শ্রী চণ্ডীমঙ্গল কাব্য’ রচনা করেন। জমিদার রঘুনাথ রায় কবি প্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ কবি মুকুন্দরামকে ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি দেন। তবে সুকুমার সেন একে স্বয়ংগৃহীত বলে মনে করেন। মুকুন্দরাম রচিত কাব্যের না ‘চণ্ডীমঙ্গল’; এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ‘অভয়মঙ্গল’, ‘আম্বিকামঙ্গল’, ‘গৌরীমঙ্গল’, ‘চণ্ডিকামঙ্গল’ নামও পাওয়া যায়। মুকুন্দরাম রচিত চণ্ডীমঙ্গল তিনখণ্ডে বিভক্ত-

  1. দেবখণ্ড-সতী ও পার্বতীর কাহিনী;
  2. আক্ষেটিক খণ্ড-কালকেতুর কাহিনী ও
  3. বণিক খণ্ড- ধনপতি সদাগরের কাহিনী।

✅ চণ্ডীমঙ্গলের আরে কবি দ্বিজ রামদেব। তার কাব্যের নাম ‘অভয়ামঙ্গল’ কাব্য।

✅ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আরও একজন কবি মুক্তারাম সেন। মুক্তারাম সেন চট্টগ্রাম জেলার দেবগ্রামে (বর্তমানে আনোয়ারায়) জন্মগ্রহণ করেন।

✅ দেবরাম সেন রচিত কাব্যের নাম ‘সারদামঙ্গল’।

✅ সপ্তদশ শতকের শেষ ভাগে কবি হরিরাম ‘চণ্ডীমঙ্গল কাব্য’ রচনা করেন।

✅ কবি লালা জয়নারায়ণ সেন চণ্ডীমঙ্গলের আরেক কবি। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের জপসা অধিবাসী ছিলেন। কবি লালা জয়নারায়ণ সেন এর কাব্যের নাম “হরিলীলা”।

✅ কবি ভবানীশঙ্কের দাস ১৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গলচণ্ডী পাঞ্চলিক রচনা। তার কাব্য জাগরণের পুঁথি ও চণ্ডীমঙ্গল গীত নামেও পরিচিত।

✅ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শেষ কবি অকিঞ্চন চক্রবর্তী। অকিঞ্চন চক্রবর্তী মেদিনীপুরের ঘটাল মহকুমার বেঙ্গারাম গ্রামে বসবাস করতেন। অকিঞ্চন চক্রবর্তীর উপাধি ছিল কবীন্দ্র।

— –অন্নদামঙ্গল কাব্য—-

দেবী অন্নদার গুণকীর্তন নিয়ে রচিত কাব্য অন্নদামঙ্গল কাব্য। এটি রচনা করেন ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। তাকে মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্নদামঙ্গল কাব্য তিনখণ্ডে বিভক্ত-

  • প্রথম খণ্ড শিবনারায়ণ অন্নদামঙ্গল।
  • দ্বিতীয় খণ্ড- বিদ্যাসুন্দর কালিকামঙ্গল;
  • তৃতীয় খণ্ড-ভবানন্দ মানসিংহ অন্নদামঙ্গল।

প্রথম খণ্ড শিবনারায়ণ অন্নদামঙ্গল উপাখ্যানে সতীর দেহত্যাগ ও উমারূপে জন্মগ্রহণ, শিবের সাথে বিয়ে, ঘরকন্না ও অন্নপূর্ণা মূর্তিধারণ, পূঁজা প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি পৌরাণিক কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। প্রথম খণ্ডের প্রধান চরিত্র দেবতা শিব, উমা, হরিহোড়, ভবানন্দ, ঈশ্বরী পাটনি।

দ্বিতীয় খণ্ড বিদ্যাসুন্দর, কালিকামঙ্গল উপাখ্যানের প্রধান চরিত্র সুন্দর, বিদ্যা, দেবী কালি, রাজা বীরসিংহ, হীরা মালিনী। ভাষা, ছন্দ, কাহিনী, উপমার বিচারে তার রচিত বিদ্যাসুন্দর কাব্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। তৃতীয় খণ্ড মানসিংহ ভবানন্দ উপাখ্যানের প্রধান চরিত্র-মানসিংহ, ভবানন্দ, দেবী অন্নদা, স¤্রাট জাহাঙ্গীর।

অন্নদামঙ্গল কাব্যের দুটি বিশেষ চরিত্র ঈশ্বরী পাটনী ও হীরা মালিনী।

— –অন্নদামঙ্গলের কবি—-

✅ অন্নদামঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি ভারতচন্দ্র রায় মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে খ্যাত কাব্যধারার সর্বশেষ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। গুণাকর কবি ভারতচন্দ্রের উপাধি।

✅ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর বর্ধমান বিভাগের ভুরসুট পরগণার আধুনিক হাওড়া জেলার পেড়ো (পাÐুয়া) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতচন্দ্রের সম্ভাব্য জন্ম ১৭০৫ সালে বলে ধরা হয়। রাজা কৃষ্ণরায়ের বংশে ভারতচন্দ্রের জন্ম।

✅ ভারতচন্দ্রের কবিজীবনের সূত্রপাত হয় দেবনান্দপুর গ্রামে অবস্থানকালে ‘সত্যনারায়ণ পাঁচালী রচনার মধ্যে দিয়ে। চল্লিশ বছর বয়সে ভারতচন্দ্র নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সভাকবি নিযুক্ত হন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কবি ভারতচন্দ্র রায়ের কবিতার মুগ্ধ হয়ে কবিকে ‘গুণাকর’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ভারতচন্দ্র মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ‘অন্নদামঙ্গল কাব্য’ রচনা করেন। কৃষ্ণচন্দ্র এ কাব্যে এত মুগ্ধ হন যে, এটি দরবারে গাওয়া হতো এবং এ কাব্য রচনার পর তিনি বর্তমান আকারে কালীপূজা প্রবর্তন করেন।

✅ ভারতচন্দ্রের প্রধান দুটি কাব্যগ্রন্থ হল ‘অন্নদামঙ্গল’ ও সত্য পীরের পাঁচালী’। ১৭৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ‘অন্নদামঙ্গল কাব্য’ রচনা করেন। কবি ভারতচন্দ্র রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের মোট পর্ব সংখ্যা ৮। তাঁর রচিত দুটি বিখ্যাত উক্তি হল- ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন’ এবং ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’
আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার সম্পর্কে ভারতচন্দ্রের বিখ্যাত পঙক্তি।

“প্রাচীন পণ্ডিতগণ গিয়েছেন কয়ে।
যে হৌক সে হৌক ভাষা কাব্যরস লয়ে”।

✅ ভারতচন্দ্র রায় মৈথিলী কবি ভানুদত্তের ‘রসমঞ্জুরী’ কাব্যের অনুবাদও করেছিলেন। কবি ভারতচন্দ্র রায়ের অসমাপ্ত রচনা ‘চণ্ডীনাটক’।

— –কালিকামঙ্গল কাব্য—-

অপূর্ব রূপ গুণান্বিত রাজকুমার সুন্দর এবং বীরসিংহের অতুলনীয়া সুন্দরী ও বিদূষী কন্যা বিদ্যার গুপ্ত প্রণয়কাহিনী কালিকামঙ্গল কাব্যের মূল উপজীব্য বিষয়। মূল কাহিনী কাশ্মীরের বিখ্যাত কবি বিলহন কর্তৃক তার ‘চৌরপঞ্চাশিকা’ কাবো সংস্কৃতে বিধৃত হয়েছিল। বিলহন একাদশ শতকে কবি। ক্রমে চৌরপঞ্চাশিকার কাহিনী বাংলায় এসে প্রণয়াকাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে কালিকামঙ্গলে স্থান পেয়েছে।

— –কালিকামঙ্গলের কবিগণ—-

✅ কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দরের আদি কবি হলেন কবি কঙ্ক। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার নদীর তীরে বিপ্র গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনের করুণ ও বিচিত্র কাহিনী অবলম্বনে রচিত লোকগাথা ‘কঙ্ক ও লীলা’ নামে ময়মনসিংহ গীতিকোষ স্থান পেয়েছে।

✅ বিদ্যাসুন্দরের কাহিনী নিয়ে শ্রীধর নামে একজন হিন্দু লেখকের রচনা প্রথম লেখা বলে অনুমিত। তিনি চট্টগ্রামের কবি। তিনি ষোল শতকের শুরুতে নুশরত শাহের নির্দেশ এ কাব্য রচনা করেন।

✅ অন্নদামঙ্গলের কবি ভারতচন্দ্র রায় শ্রেষ্ঠমানের বিদ্যাসুন্দর কাব্যের রচয়িতা। তার কালিকামঙ্গলে তিনি অশ্লীলরূপে নারী মিলনের বর্ণনা দিয়েছেন এবং নারীদের সম্পর্কে অনেক স্থুল রসিকতা করেছেন। সুন্দর নামে এক বিদেশি বিদ্যাশিক্ষার্থীর সাথে বিদ্যা নামে এক বাঙালি কন্যার প্রণয় ও মিলনের কাহিনী এ কাব্যের উপজীব্য।

✅ সাবিরিদ খান (শাহ বারিদ খান) ছিলেন ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্যের রচয়িতা। তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের কবি ছিলেন। তিনি ‘রসূল বিজয়’ কাব্যও রচনা করেন। হযরত মুহম্মদ (সা:) এর রাজ্য জয়, তার মাহাত্ম্য ঘোষণা হচ্ছে ‘রাসূল বিজয়’ গ্রন্থের বক্তব্য।

✅ কবি গোবিন্দদাস ১৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে কালিকামঙ্গল কাব্য রচনা করেন।

✅ রামপ্রসাদ সেন কালিকামঙ্গলের বিশিষ্ট কবি। কবি রামপ্রসাদ ১৭২০ খ্রিষ্টাব্দে চব্বিশ পরগনা জেলার হালি শহরের নিকটবর্তী কুমারহট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রামপ্রসাদকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধি দেন। কবি রামপ্রসাদের কাব্যের নাম ‘কবিরঞ্জন’। রামপ্রসাদ শ্যামসঙ্গীত রচনায়ও অপরিসীম কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।

— –অন্যান্য মঙ্গলকাব্য—-

✅ অন্যান্য মঙ্গল কাব্যগুলোর শিবায়ন বা শিবমঙ্গল, শীতলামঙ্গল, ষষ্ঠীমঙ্গল, সারদামঙ্গল, রায়মঙ্গল, গঙ্গামঙ্গল, পঞ্জাননমঙ্গল, অনাদিমঙ্গল, তীর্থমঙ্গল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

— –শিবায়নবন্ধ শিবমঙ্গল কাব্য—-

✅ শিব প্রাগবৈদিক দেবতা। লৌকিক দেবতা হিসেবে তার বিবর্তন ঘটেছে। পৌরাণিক মৌলিক উপাদান মিশ্রিত হয়ে শিবায়ন বা শিবমঙ্গল কাব্য রচিত। মনে করা হয় কবি রামকৃষ্ণ রায় শিবমঙ্গল কাব্যের আদি কবি। রামকৃষ্ণ রায় রচিত কাব্যের নাম ‘শিবের মঙ্গল’।

✅ কবি কঙ্ক আনুমানিক ১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে ‘শিবমঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন।

✅ কবি রামেশ্বর ভট্টাচার্য আঠার শতকের প্রথম দিকে ‘শিবায়ন’ বা ‘শিব-কীর্তন’ নামে কাব্য রচনা করেন।

— –ধর্মমঙ্গল কাব্য—-

ধর্মঠাকুর নামে দেবতার মাহাত্ম্য প্রচার ও পূজার ঘটনা নিয়ে রচিত ধর্মমঙ্গল কাব্য। হিন্দু নিচু শ্রেণির (ডোমসমাজ) দেবতা ধর্মঠাকুর। রাঢ়দেশে ধর্মঠাকুর এখনও জাগ্রত দেবতা। আঞ্চলিক হলেও অন্যান্য মঙ্গল পাচালির চেয়ে ধর্মমঙ্গল কাব্যের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা ছিল অধিক। অসংখ্য অব্রাহ্মণ-চণ্ডাল-ব্রাহ্মণ রচনা করেন এ কাব্য। ধর্মঠাকুরই একমাত্র দেবতা যাতে সর্বশ্রেণির সর্বজনের অধিকার ও শ্রদ্ধা ছিল। কাহিনীতে রয়েছে ধর্মঠাকুরের আসল পরিচয়: সূর্য তার অনুগত, সন্তানদের তার আয়ত্তে¡, জলবর্ষণ তার কাজ, চক্ষুরোগ নিরাময় তার কৃপা, তার দেয়া দÐ কুষ্ঠরোগ, ধবল রূপ তার প্রিয়। সাধারণত একটি শিলাখণ্ডই (কূর্মমূর্তি) ধর্ম-প্রতীকরুপে পূজা পায়।

ধর্মমঙ্গল কাব্যের কাহিনী দুটি-

  • রাজা হরিশ্চন্দ্রের কাহিনী;
  • লাউসেনের কাহিনী।

‘রাজা হরিশ্চন্দ্রের কাহিনী’র প্রধান চরিত্র রাজা হরিশ্চন্দ্র, বা লুইধর। ‘লাউসেনের কাহিনী’র চরিত্র কর্ণসে, রঞ্জাবতি, ধর্মঠাকুর, লাউসেন, মাহমুদ।

 

— –ধর্মমঙ্গলের কবি—-

✅ ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদিকবি ময়ুরভট্ট। তিনি সতের শতকের কবি ছিলেন। ময়ুরভট্ট রচিত কাব্যটি হচ্ছে “শ্রীধর্মপুরাণ”। তবে তার রচনার একটি পদও পাওয়া যায়নি।

✅ ধর্মমঙ্গলের দ্বিতীয় কবি আদি রূপরাম। কবি মাণিক গঙ্গুলিই তাকে স্মরণ করে পদ রচনা করেন। তার কোন পুঁথি পাওয়া যায়নি।

✅ ধর্মমঙ্গলের আরেক কবি খেলারাম চক্রবর্তী। ধর্মমঙ্গল কাব্যের একজন অন্যতম কবি মানিকরাম গাঙ্গুলি। মানিকরামের সমসাময়িক আরেকজন কবি দ্বিতীয় রূপরাম। কবি দ্বিতীয় রূপরাম ১৫৯০ খ্রিষ্টাব্দে তার কাব্য রচনা করেন।

ধর্মমঙ্গলের অন্যতম কবি শ্যামপণ্ডিত। শ্যাম পণ্ডিত রচিত কাব্যের নাম ‘নরঞ্জন মঙ্গল’।
রামদাস আদক রচিত কাব্যের নাম অনাদিমঙ্গল। ১৬৬২ খ্রিষ্টাব্দে তার কাব্য প্রথম গীত হয়।

✅ কবি ঘনরাম অষ্টাদশ শতকের ধর্মমঙ্গলের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। ১৭১২ খ্রিষ্টাব্দে ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্য রচনা শেষ হয়। বর্ধমান জেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে কবি ঘনরাম চক্রবর্তী জন্মগ্রহণ করেন। ধর্মঠাকুরের অনুগৃহীত লাউসেনের কাহিনীই ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যের উপজীব্য।

মঙ্গলকাব্য প্রশ্ন উত্তর

০১. মধ্যযুগীয় এক শ্রেণির ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্যের উদাহরণ-
ক. গীতিকাব্য খ. মঙ্গলকাব্য
গ. জীবনীকাব্য ঘ. চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়

০২. মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন কী?
ক. চতুর্দশপদী কবিতা খ. চর্যাপদ
গ. ছোটগল্প ঘ. মঙ্গলকাব্য

০৩. ‘মঙ্গলকাব্য’ সমূহের বিষয়বস্তু মূলত-
ক. লোকসংগীত
খ. মধ্যযুগের সমাজ ব্যবস্থার বর্ণনা
গ. ধর্মবিষয়ক আখ্যান
ঘ. পীর পাঁচালী

০৪. নিচের কোনটি মধ্যযুগের কাব্যের প্রধান একটি ধারা?
ক. মঙ্গলকাব্য খ. অনুবাদ সাহিত্য
গ. রোমান্সধর্মী প্রণয়োপাখ্যান ঘ. বৈষ্ণব পদাবলি

০৫. মঙ্গলকাব্য রচনার মূলে উল্লিখিত কারণ কী?
ক. রাজাদের প্রাপ্তি
খ. স্বপ্নে দেবী কর্তৃক আদেশ লাভ
গ. রাজা ও সভাসদের মনোরঞ্জন করা
ঘ. রাজকবির দায়িত্ব পালন

০৬. মঙ্গলকাব্যে কোন দুই দেবতার প্রাধান্য বেশী?
ক. শিবায়ন ও ধর্মঠাকুর খ. মনসা ও শিবমঙ্গল
গ. চণ্ডী ও শিবায়ন ঘ. মনসা ও চণ্ডী

০৭. কোনো মঙ্গলকাব্যে কয়টি অংশ থাকে?
ক. ৩টি খ. ৫টি
গ. ৭ টি ঘ. ৮ টি

০৮. মঙ্গলকাব্যের কবি নন কে?
ক. কানাহরি দত্ত খ. মানিক দত্ত
গ. ভারতচন্দ্র ঘ. দাশু রায়

০৯. মঙ্গলকাব্যের রচয়িতা নন-
ক. ভারতচন্দ্র খ. বড় ু চণ্ডীদাস
গ. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ঘ. বিজয় গুপ্ত

১০. কোনটি আধুনিকযুগের কাব্য?
ক. মনসামঙ্গল খ. অন্নদামঙ্গল
গ. কালিকামঙ্গল ঘ. সারদামঙ্গল

১১. ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যের আদি কবি কে?
ক. কৃত্তিবাস খ. মালাধর বসু
গ. মানিক দত্ত ঘ. কানাহরি দত্ত

১২. কোন দেবীর কাহিনী নিয়ে ‘মনসামঙ্গল’ কাব্য রচিত?
ক. লখিন্দরের দেবী খ. পদ্মাবতী দেবী
গ. মনসা দেবী ঘ. বেহুলা ও চাঁদসুন্দর

১৩. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কোন ধারার কবি?
ক. মনসামঙ্গল ক. শীতলামঙ্গল
গ. চণ্ডীমঙ্গল ঘ. পদাবলি

১৪. ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের প্রধান/শ্রেষ্ঠ কবি কে?
ক. কানাহরি দত্ত খ. শাহ মুহম্মদ সগীর
গ. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ঘ. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর

১৫. ‘কবিকঙ্কন’ কার উপাধি?
ক. মালাধর বসু খ. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
গ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঘ. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

১৬. কোন কবি ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের প্রণেতা?
ক. বংশীদাস চক্রবর্তী খ. রূপরাম চক্রবর্তী
গ. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ঘ. বলরাম চক্রবর্তী

১৭. ভুরসুট পরগনার পাÐুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন-
ক. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী খ. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
গ. ময়ূর ভট্ট ঘ. কানাহরি দত্ত

১৮. কোনটি কবি ভারতচন্দ্রের উপাধি?
ক. রায়গুণাকর খ. কবিকণ্ঠহার
গ. কবিকস্কন ঘ. কবিরঞ্জন

১৯. ‘রায়গুণাকর’ কার উপাধি?
ক. মালাধর বসু খ. মুকুন্দরাম
গ. ভারতচন্দ্র ঘ. ময়ূরভট্ট

২০. মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবির নাম কী?
ক. ঈশ^রচন্দ্র গুপ্ত খ. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
গ. রামরাম বসু ঘ. শাহ মুহম্মদ সগীর

২১. মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
ক. হরি দত্ত খ. ভারতচন্দ্র
গ. মুকুন্দরাম ঘ. চণ্ডীদাস

২২. ‘‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য কে রচনা করেন?
ক. কানাহরি দত্ত খ. বিজয় গুপ্ত
গ. ঈশ^রচন্দ্র গুপ্ত ঘ. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর

২৩. ‘মানসিংহ ভবানন্দ উপাখ্যান’ কার রচনা?
ক. কানাহরি দত্ত খ. বিজয় গুপ্ত
গ. মুকুন্দরাম ঘ. ভারতচন্দ্র

২৪. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ এ প্রার্থনাটি করেছে-
ক. ভাঁড়ুদত্ত খ. চাঁদ সদাগর
গ. ঈশ^রী পাটনী ঘ. নলকুবের

২৫. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ লাইনটি নি¤েœাক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া-
ক. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী খ. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
গ. মদনমোহন তর্কালস্কার ঘ. কামিনী রায়

২৬. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’- বাংলার সাহিত্যের কোন কাব্যে বাঙালির এ প্রার্থনা ধ্বনিত হয়েছে?
ক. অন্নদামঙ্গল খ. পদ্মাবতী
গ. অশ্রæমালা ঘ. লায়লী-মজনু

২৭. ‘বড়র পিরীতি বালির বাঁধ! ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণেকে চাঁদ’- চরণ দুটি কার রচনা?
ক. আলাওল খ. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ. শেখ ফজলুল করিম

২৮. বারমাস্যা কাকে বলে?
ক. নায়িকার বারমাসের সুখ-দু:খের বর্ণনা
খ. দেবদেবীর পূজা প্রচারের কাহিনী
গ. নায়ক-নায়িকার প্রেমের ধারাবাহিক বিন্যাস
ঘ. বারমাসের চাষাবাদের বিবরণ

২৯. মধ্যযুগের শেষ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন-
ক. ১৭৫৬ খ. ১৭৫২
গ. ১৭৬০ ঘ. ১৭৬২

৩০. ‘ভাঁড়ুদত্ত’ চরিত্রটি পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে?
ক. মনসামঙ্গল কাব্য খ. অন্নদামঙ্গল কাব্য
গ. চণ্ডীমঙ্গল কাব্য ঘ. ধর্মমঙ্গল কাব্য

উত্তরমালা
০১ খ ০২ ঘ ০৩ গ ০৪ ক ০৫ খ
০৬ ঘ ০৭ খ ০৮ ঘ ০৯ খ ১০ ঘ
১১ ঘ ১২ ক,গ ১৩ গ ১৪ গ ১৫ খ
১৬ খ ১৭ খ ১৮ ক ১৯ গ ২০ খ
২১ খ ২২ ঘ ২৩ ঘ ২৪ গ ২৫ খ
২৬ ক ২৭ খ ২৮ ক ২৯ গ ৩০ গ

মঙ্গলকাব্য pdf টি পেতে নিচে কমেন্ট করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ

1 Comment.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *