বাংলা ভাষা, বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা, এর সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সাথে, এর ব্যাকরণও একটি দীর্ঘ ও আকর্ষণীয় ক্রমবিকাশের পথ অতিক্রম করেছে। আজকের এই পোস্টে বাংলা ব্যাকরণের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে সংক্ষেপে সবকিছু তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলা ব্যাকরণের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস
বাংলা ব্যাকরণের রচনার ইতিহাস ২৫০ বছরেরও বেশি অর্থাৎ মনোএল দ্যা আসসুম্পসাঁও থেকে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও ড. সুকুমার সেন পর্যন্ত। বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচিত হয় ইউরোপীয়দের হাত ধরে।
বাংলা ব্যাকরণের প্রথম গ্রন্থ: ‘ মনোএল দ্যা আসসুম্পসাঁও’র দ্বিভাষিক শব্দকোষ ও খÐিত ব্যাকরণ’ আঠার শতকের চল্লিশের দশকে রচিত হয়। ১৭৩৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার ভাওয়ালে পর্তুগীজ ভাষায় তিনি রচনা করেন “Vocabolario em idioma Bengalla, e Portuguez dividido em duas partes” নামে।
গ্রন্থটি দুটি অংশে বিভক্ত; প্রথম অংশ বাংলা ব্যাকরণে একটি সংক্ষিপ্তসার এবং দ্বিতীয় অংশ ব্যাকরণের একটি সংক্ষিপ্তসার এবং দ্বিতীয় অংশ বাংলা-পর্তুগিজ এবং পর্তুগিজ-বাংলা শব্দবিধান। এতে কেবল রূপতত্ত¡ এবং বাক্যতত্ত¡ আলোচিত হয়েছে, ধ্বনিতত্ত¡ সম্পর্কে কোন আলোচনা নেই।
১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হুগলি থেকে প্রকাশিত হয় ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড রচিত ইংরেজি ভাষায় বাংলা ব্যাকরণ, ‘A Grammar of the Bengali Language.’ এটি বাংলা ভাষার দ্বিতীয় ব্যাকরণ গ্রন্থ’। হ্যালহেডকে বাংলা ব্যাকরণ রচনার পথিকৃৎ বলা হয়।
বাংলা ভাষায় বাঙালির লেখা প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ রামমোহন রায়ের ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’। স্কুল সোসাইটির অনুরোধে ১৮৩০ সালে। তিনি এটি রচনা করেন যা ১৮৩৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।